দেশ জনতা রিপোর্ট: মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের আরও একটি লুপ যেকোনো সময় উন্মুক্ত করে দেয়া হবে চলাচলের জন্য। এই লুপটি হাতিরঝিল মোড় থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি চালু হলে হলি ফ্যামিলি লুপ থেকে উঠে সরাসরি কারওয়ান বাজার দিয়ে নামা যাবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সোনারগাঁও হোটেল থেকে হাতিরঝিলের অংশের নির্মাণকাজ শেষ হয়ে গেছে। সরকার চাইলে যেকোনো সময় ওই অংশ খুলে দিতে পারে।
বুধবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে সোনারগাঁও হোটেল থেকে হাতিরঝিল অংশ ফ্লাইওভারের নিচের অংশের পালিশের কাজ করছেন শ্রমিকেরা। রাস্তায় পিচ ঢালাইসহ সব কাজই শেষ হয়েছে।
রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর ও তেজগাঁওয়ের যানজট নিরসন ও অবাধ যান চলাচল নিশ্চিত করতে ২০১১ সালে মগবাজার মৌচাক ফ্লাইওভারের প্রকল্পটি গ্রহণ করে সরকার। সে সময় ফ্লাইওভারের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজ শুরু করা এই ফ্লাইওভার দুই বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৫ সালের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। তবে ঠিকাদার ও তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতার কারণে তিন দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের। তৃতীয় দফা সময় বাড়িয়ে বলা হচ্ছে চলতি বছরের জুনের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। মেয়াদ বাড়ার পাশাপাশি মেগা এ প্রকল্পের ব্যয়ও প্রায় ৫৮ শতাংশ বাড়িয়ে করা হয়েছে এক হাজার ২১৯ কোটি টাকা।
প্রথম ধাপে গত বছরের ৩০ মার্চ ফ্লাইওভারটির সাতরাস্তা থেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত দুই দশমিক ১১ কিলোমিটার অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছিল। এরপর খুলে দেয়া হয় বাংলামোটর থেকে মৌচাক পর্যন্ত এবং মগবাজার থেকে মৌচাক পর্যন্ত সড়কের একাংশের চলাচল।
বাংলামোটর থেকে মৌচাক, শান্তিনগর, রাজারবাগ অংশের কাজও শেষেরদিকে।
ফ্লাইওভারটির বিভিন্ন অংশের নির্মাণ কাজ করছে ভারতের সিমপ্লেক্স ইনপ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও নাভানার যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান ‘সিমপ্লেক্স-নাভানা জেভি’, চীনা প্রতিষ্ঠান দ্য নাম্বা ফোর মেটালার্জিক্যাল কনস্ট্রাকশন ওভারসিজ কোম্পানি (এমসিসিসি) ও তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। সব কাজ তত্ত্বাবধান করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ।
জানতে চাইলে ফ্লাইওভারের প্রকল্প পরিচালক প্রশান্ত কুমার পাল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ফ্লাইওভারের কাওরানবাজার থেকে হাতিরঝিলের অংশের কাজ শেষ হয়ে গেছে। সরকার বাহাদুর চাইলে যে কোন সময়ে এই অংশ খুলে দিতে পারে।’
পুরো কাজ জুনের মধ্যেই শেষ হবে বলে আশাবাদী এই প্রকল্প কর্মকর্তা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনারা মালিবাগ মৌচাক এলাকায় যে পানি জমা দেখেন এবং রাস্তা ভাঙা, খানা-খন্দক রয়েছে সেগুলো সিটি করপোরেশনের কাজ। তারা ঠিকমত ড্রেন পরিষ্কার না করা এবং রাস্তা মেরামত না করার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।