২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৯:৪০

ইমরানের আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দেবেন মোদি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

চলতি বছরের শেষে সার্ক সম্মেলনের আয়োজন করার জন্য কোমর বাঁধছে পাকিস্তান। কূটনৈতিক শিবির সূত্রের মতে, বিষয়টি ইমরান খানের ভবিষ্যৎ সরকারের কাছে একাধারে মর্যাদা রক্ষা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর কাছে পৌঁছনোর প্রশ্ন। ২০১৬-য় ভারতের সার্বিক প্রয়াসে ভণ্ডুল হয়ে গিয়েছিল সার্ক। উরি হামলার কথা বলে বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সার্ক বয়কট করেছিল ভারত।

প্রশ্ন হলো, এ বারের সার্কে যোগ দিতে পাকিস্তানের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসলামাবাদে যাবেন কি না। এখন পর্যন্ত যা খবর, ইমরান খানের পক্ষ থেকে শীর্ষ পর্যায়ের কোনো রাজনৈতিক নেতাকে দূত হিসেবে ভারতে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের দিক থেকে ভারতকে সার্কের মঞ্চে হাজির করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। কারণ এটি হবে সাম্প্রতিক অতীতে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি-প্রয়াসের সবচেয়ে বড় এবং প্রথম বিজ্ঞাপন। যা ইমরান ছাড়তে নারাজ। কিন্তু সাউথ ব্লক সূত্রের খবর, এখন পর্যন্ত সার্কে যোগ দেয়ার ব্যাপারে অনীহা রয়েছে মোদির।

নভেম্বরে গোটা ভারতে ভোটের মরসুম শুরু হয়ে যাবে। তিনটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন এবং তার পরেই লোকসভা। সূত্রের মতে, এমন স্পর্শকাতর সময়ে ইসলামাবাদে গিয়ে কোনো রকম ঝুঁকি নিতে চাইছেন না প্রধানমন্ত্রী। আমেরিকা তথা পশ্চিমী দুনিয়াকে কিছুটা খুশি করতে পাকিস্তানের সঙ্গে আস্থাবর্ধক পদক্ষেপগুলি নিঃশব্দে বজায় রেখে যাওয়া (যেমন, সে দেশের নাগরিকদের মুক্তি দেয়া) এক বিষয়।
কিন্তু ইসলামাবাদের মাটিতে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে ফেরা সম্পূর্ণ অন্য কথা। এখন পর্যন্ত দিল্লির ঘোষিত অবস্থান— সন্ত্রাসও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী হয়তো পাকিস্তানে সার্ক সম্মেলন করে ফিরলেন। তার পরেই দেশের কোথাও অথবা কাশ্মীরেই সন্ত্রাসবাদী হামলা হলো। তাতে সরকারের চরম মুখ পুড়বে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল পাঠানকোটের সেনা
ছাউনিতে হামলার সময়ে।’’ পঠানকোট হামলার এক সপ্তাহ আগে বিনা আমন্ত্রণেই মোদি গিয়েছিলেন লাহোরে তৎকালীন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পারিবারিক অনুষ্ঠানে।

ভোটের আগে এমন কোনো ‘ভুল’ সরকার আর করতে চাইবে না বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট শিবির।

প্রকাশ :আগস্ট ১৭, ২০১৮ ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ