ক্রীড়া ডেস্ক:
দুই অর্ধের শুরুর দিকে ভুটানকে মনে হয়েছিল লড়াকু; কিন্তু স্বাগতিকরা লড়াই করার শক্তিটা আর এগিয়ে নিতে পারেনি বেশিদূর। বাংলাদেশের মেয়েরা খেলা ধরতে একটু সময় নিলো। ব্যাস, তারপর সব গল্পই মারিয়া, তহুরাদের। ভুটানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ফেভারিট-সেমিফাইনালের আগে সেটাই ছিল বাস্তবতা। ম্যাচও বলে দিলো তাই।
স্বাগতিক দেশের কিশোরীরা কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারলো না। সুতরাং, ভুটানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ উঠে গেলো সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। শনিবার ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। গত বছর ডিসেম্বরে যাদের ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাল-সবুজ জার্সিধারী কিশোরীরা।
চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট ধরে রাখতে বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে এখন মাত্র এক ম্যাচ বাকি। সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ ভারত। জিতলে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট থাকবে মারিয়া-তহুরাদের মাথাতেই। গ্রুপ পর্বের ২ ম্যাচ ও সেমিফাইনলে দুর্দান্ত দাপুটে জয় নিয়ে ফাইনালে ওঠা বাংলাদেশই থাকবে ফেবারিট।
বাংলাদেশ প্রথমার্ধে এগিয়েছিল ৩-০ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে করে ২ গোল। ১৮ মিনিটে ছোটনের দলকে এগিয়ে দেন আনাই মগিনি। মারিয়া মান্দার কর্নার ধরে শট নিয়েছিলেন শামসুন্নাহার। ভুটানের এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে গেলে বল পান বক্সের বাইরে আনাই। তিনি একটু সামনে এগিয়ে দুর্দান্ত শটে কাঁপিয়ে দেন নেপালের জাল। তারই বোন আনুচিং মগিনি ব্যবধান দ্বিগুন করেন ৩৮ মিনিটে। ৪৩ মিনিটে তহুরার গোল বাংলাদেশকে প্রথমার্ধে এগিয়ে রাখে ৩-০ ব্যবধানে।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় ৬৯ মিনিট পর্যন্ত। মাঝবৃত্ত থেকে বল ধরে অধিনায়ক মারিয়া মান্দা ভুটানের সীমানায় ঢুকে বা পায়ের দুর্দান্ত ভলিতে গোল করেন। বাংলাদেশ পঞ্চম গোল করে ৮৬ মিনিটে। ৭৬ মিনিটে তহুরার বদলি হিসেবে মাঠে নামা শাহেদা আক্তার রিপা দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বল জালে পাঠান। এ নিয়ে বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টে টানা ৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকলো। কোনো গোলও হজম করেনি টানা ৭ ম্যাচে।
দিনের প্রথম সেমিফাইনালে ভারত ২-১ গোলে নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে। গত ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের ফাইনালও খেলেছিল বাংলাদেশ ও ভারত। ফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দল: মাহমুদা. আঁখি, আনাই, বড় শামসুন্নাহার, নাজমা, নীলা, মনিকা ( ছোট শামসুন্নাহার ৫৬ মি.) মারিয়া, আনু চিং, তহুরা ( শাহেদা ৭৭ মি), সাজেদা ( রিতু পূর্না চাকমা ৭৩ মি)।