আদালত প্রতিবেদক:
আলোচিত ব্যবসায়ী প্রিন্স মুসা বিন শমসেরসহ চারজনের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে একটি রেঞ্জ রোভার জিপ আমদানির মানি লন্ডারিং মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন পিছিয়ে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য দিনে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং আইনে শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অপর তিন আসামি হলেন- মো. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, বিআরটিএ ভোলা জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী আইয়ুব আলী আনছারী ও মেসার্স অটো ডিফাইন নামে গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. ওয়াহিদুর রহমান।
মামলায় বলা হয়, শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানিকৃত একটি রেঞ্জ রোভার জিপ দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন মুসা বিন শমসের। বিআরটিএ ভোলা জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী আইয়ুব আলী আনছারীর সহায়তায় ফারুক-উজ-জামান চৌধুরীর নামে ওই গাড়িটি ভুয়া রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এতে ২ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়।
গত ২১ মার্চ ধানমন্ডির একটি বাড়ি থেকে গাড়িটি উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা। এর পর মুসা বিন শমসের ও ফারুক-উজ-জামান চৌধুরীকে তলব করা হয়। কিন্তু মুসা অসুস্থ রয়েছেন দাবি করে সময় চান। অন্যদিকে নিরুদ্দেশ হন ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।
মামলায় আরও বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বিন শমসের জানিয়েছেন, ফারুক চৌধুরী তার আত্মীয়। গাড়িটি তিনি ভাড়ায় ব্যবহার করছেন। এটি অটো ডিফাইন নামে একটি গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি কিনেছেন।
এর আগে অটো ডিফাইন কিনেছে লন্ডন প্রবাসী ফরিদ নাবির নামে এক বাংলাদেশির কাছ থেকে। তবে এর স্বপক্ষে কাগজপত্র দেখাতে পারেননি মুসা বিন শমসের।
রেঞ্জ রোভার গাড়ির শুনানিকালে মুসা তার বক্তব্যে বলেছেন, সুইস ব্যাংকে তার ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৯৬ হাজার কোটি টাকা) আটকে পড়ে আছে। কিন্তু এই টাকার হিসাবের স্বপক্ষে বা এই টাকার উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ও নোটিশ দিলেও তিনি এ বিষয়ে গ্রহণযোগ্য তথ্য দিতে পারেননি। ফলে এই টাকার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে, যা গভীরভাবে তদন্ত করা প্রয়োজন।