২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:২৭

মেয়র আরিফকে ফুল দেওয়ার পর সংঘর্ষ, ছাত্রদল নেতা নিহত

সিলেট প্রতিবেদক:
সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত বিএনপি সমর্থিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে ছাত্রদলের এক নেতা নিহত হয়েছেন। নিহত ওই ছাত্রদল নেতার নাম ফয়জুর রহমান রাজু। তিনি সদ্য বিলুপ্ত জেলা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আরিফুল হকের বাসার সন্নিকটে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৯টায় আরিফুল হককে ফুল দিয়ে ছাত্রদলের একটি পক্ষ বাসা থেকে বের হয়ে কুমারপাড়ার মোড়ে দাঁড়ায়। এ সময় অতর্কিতে আরেক পক্ষ তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তিনজনকে ধরে কোপায়। পরে গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আহত অবস্থায় তিনজন প্রায় ১০ মিনিট রাস্তায় পড়েছিলেন। খবর পেয়ে তাদের সঙ্গে থাকা কর্মী ও পুলিশ আহত তিনজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আহতদের মধ্যে ফয়জুর রহমানের অবস্থা ছিল গুরুতর। আহত অন্য দুজন হলেন উজ্জ্বল ও লিটন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফয়জুরের মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার সোহেল রেজা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা গেছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

ছাত্রদল সূত্র জানায়, গত ১৩ জুন রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আকরামুল হাসান স্বাক্ষরিত কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়। এতে ২৮ সদস্যবিশিষ্ট জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আলতাফ হোসেন সুমন এবং সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন দিনার। ২৯ সদস্যবিশিষ্ট নগর ছাত্রদলের কমিটিতে সুদীপ জ্যোতি এষ সভাপতি এবং ফজলে রাব্বী আহসান সাধারণ সম্পাদক।

এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে জেলা ও নগর ছাত্রদলের একটি পক্ষ মিছিল ও সভা করে। কমিটি প্রত্যাখ্যানকারীদের অভিযোগ ছিল, ঘোষিত কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়া কেউই ছাত্র নন। এ নিয়ে দুপক্ষকে সিটি নির্বাচন পর্যন্ত শান্ত থাকতে বলেছিল কেন্দ্র।

হামলার শিকার হওয়া পক্ষের সঙ্গে থাকা নগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল হোসেন বলেন, ছাত্রদলের পদবঞ্চিত পক্ষটি নির্বাচনে আরিফুল হকের পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করছিল। এ ক্ষোভ থেকে হামলা হয়।

সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাহবুবুল হক চৌধুরী জানান, হামলায় আহত তিনজনই ছাত্রদলের বিদ্রোহী পক্ষের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। হামলাকারীরা নতুন কমিটির পক্ষের।

এ ব্যাপারে আরিফুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাকে বিজয়ী ঘোষণার পর বিজয় মিছিল হয়। সেই মিছিল বাসায় গিয়ে শেষ হয়। সেখান থেকে আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের বিদায় করতে একটি হোটেলে যাই। কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যানকে নিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে মিটিংয়ে ছিলাম। এ সময় ঘটনাটি ঘটেছে।’

প্রকাশ :আগস্ট ১২, ২০১৮ ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ