নিজস্ব প্রতিবেদক:
আট বছর পর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পদোন্নতি পাচ্ছেন। মামলা, পদমর্যাদা পরিবর্তন হওয়াসহ নানা জটিলতার কারণে শিক্ষকদের পদোন্নতি স্থগিত ছিল। এ কারণে অনেকে ভারপ্রাপ্ত পদ নিয়ে অবসরে যান।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসেই সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিনটি পদে ৪২৩ জ্যেষ্ঠ শিক্ষক পদোন্নতি পাচ্ছেন।
সারাদেশে ৪৯৩টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে পুরাতন ৩৩৩টি এবং ১২টি মডেল বিদ্যালয়সহ জাতীয়করণ হওয়া ১৩০টি বিদ্যালয় রয়েছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের নিয়োগ বিধিমালা না থাকায় গত আট বছর ধরে পদোন্নতি কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়ে।
চাকরিবিধি অনুযায়ী, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রথম শ্রেণি এবং সহকারী শিক্ষকদের পদমর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণির হওয়ায় সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আওতাভুক্ত হয়ে যায়। এতে নিয়োগ ও পদোন্নতি কার্যক্রম আটকে পড়ে। পরে পিএসসির সহায়তায় এ স্তরের শিক্ষকদের জন্য একটি নিয়োগ বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়।
নিয়োগ বিধিমালার আলোকে ৪২৬ শিক্ষককে বিভিন্ন পদে পদোন্নতি দিতে পিএসসিতে চাহিদা পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি না হওয়া জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের মধ্যে ১৯৮ জনকে সহকারী মাধ্যমিক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ১৭৩ জনকে সহকারী প্রধান এবং ১৩০ জনকে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা পদে পদোন্নতির জন্য পিএসসিতে চাহিদা দেয়া হয়েছে। গত দুই মাস আগে এ চাহিদা পাঠানো হয়।
চলতি মাসের যে কোনো দিন এসব শিক্ষকের পদোন্নতির বিষয়ে নির্দেশ জারি হবে।
এ বিষয়ে মাউশির পরিচালক (বিদ্যালয়) অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, মামলাসহ নানা জটিলতায় গত আট বছর ধরে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদোন্নতি বন্ধ ছিল। বর্তমানে আমরা শিক্ষক সংকট দূরীকরণ এবং শিক্ষকদের পদোন্নতি দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।
জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের পদোন্নতি দিতে পিএসসিতে চাহিদা দেয়া হয়েছে। চলতি মাসেই তাদের পদোন্নতি দেয়া সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।