২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ২:০৭

ভিন্নস্বাদে বর্ষার সবজি

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

বর্ষা ঋতুতে বেশ কিছু সবজি পাওয়া যায়। যা অন্য সময়ে একটু কমই পাওয়া যায়। আর এসব সবজি দিয়ে শুধু আটপৌঢ়ে খাবারই নয়, তৈরি করতে পারেন ব্যতিক্রমী স্বাদের খাবার।

কচুমুখির কাবাব
উপকরণ : কচুমুখি সিদ্ধ আধা কেজি, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা চামচ, কাবাব মসলার গুঁড়া আধা চা চামচ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, জিরাগুঁড়া ১ চা চামচ, লাল মরিচের ভাজা গুঁড়া ১ চা চামচ, আলু সিদ্ধ আধা কাপ, ধনিয়াপাতা পৌনে ১ কাপ, কাঁচামরিচকুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, ভাজার জন্য পরিমাণমতো তেল।
প্রণালি : প্রথমে কচুমুখি ভালোভাবে ম্যাশ করে নিয়ে সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে নিন। এবার কাবাবের আকারে গড়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে ডুবো তেলে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করুন।

গোর্ড স্যান্ডউইচ
উপকরণ : বড় সাইজের লাউ ৪ স্লাইস (কোনাকুনি করে কাটা), সিদ্ধ করা সয়া কিমা ১০০ গ্রাম, সাদা গোলমরিচগুঁড়ো এক চিমটি, কালো গোলমরিচ গুঁড়ো এক চিমটি, সরিষা পেস্ট পৌনে এক চা চামচ, ওয়েস্টার সস পৌনে চা চামচ, মাখন পৌনে চা চামচ, অলিভ অয়েল আধা কাপ, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি : একটি প্যানে অলিভ অয়েল দিয়ে তাতে সয়া কিমা ও বাকি সব উপকরণ দিয়ে দিন। ভালো করে মাখিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। লাউ টুকরো ভালোভাবে ধুয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এবার লাউয়ের একপাশে আগে থেকে রান্না করে রাখা সয়া কিমা দিয়ে তার ওপর লাউয়ের টুকরো দিয়ে তাওয়ায় সেকে নিয়ে টমেটো সস দিয়ে পরিবেশন করুন।

চিচিঙ্গার গুড়ম্বা আচার
উপকরণ : চিচিঙ্গা স্লাইস ২ কাপ, চিলি ফ্লেক্স, সরিষার তেল, তরল গুড়, পাঁচফোড়নবাটা, জিরাগুঁড়া।
প্রণালি : প্যানে তেল দিয়ে শুকনা মরিচ ফোড়ন দিয়ে তাতে পাঁচফোড়নবাটা ও ভিনেগার দিয়ে কষিয়ে নিন। এর পর চিচিঙ্গা দিয়ে একটু কষিয়ে তরল গুড় দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে চিলি ফ্লেক্স, জিরাগুঁড়া দিয়ে দিন। গুড় গায়ে লেগে এলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।

মালাই পটোল
উপকরণ : পটোল ছয়টা, পুরের জন্য পেস্ট এক কাপ (কাজু, পেস্তা, খেজুর ও মাওয়া পেস্ট করে চিনি ও ঘি দিয়ে মাখিয়ে রাখতে হবে), তরল দুধ এক কেজি, গুঁড়োদুধ আধা কাপ, চিনি আধা কাপ, মাওয়া দুই টেবিল চামচ, ঘি দুই টেবিল চামচ।
প্রণালি : পটোলের খোসা ফেলে দিয়ে মাঝখান থেকে অল্প করে চিড়ে দানাগুলো সাবধানে বের করে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, পটোল যেন দুভাগ না হয়ে যায়। এবার একটু পানিতে হাল্কা ভাপিয়ে নিতে হবে। পানি ঝরিয়ে সুতি কাপড় দিয়ে আলতোভাবে পটোলগুলো মুছে নিতে হবে। এবার পটোলের ভেতর পুর ভরে ঘিয়ে ভেজে তুলে রাখুন। অন্য পাত্রে তরল ও গুঁড়োদুধ, চিনি, এলাচ, দারুচিনি মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে ঘন করুন। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক হলে বুঝতে পারবেন যে ঘন হয়ে এসেছে (এলাচ ও দারুচিনি তুলে ফেলে দিন)। এবার ভেজে রাখা পটোলগুলো ঘন দুধে দিয়ে জ্বাল কমিয়ে আরও পাঁচ-দশ মিনিট রেখে দিন। আরও একটু মাখামাখা হলে নামিয়ে ঠা-া করে কিশমিশ ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

শাপলা ফুলের ঝাল কেক
উপকরণ : শাপলা ফুলের পাতাকুচি ২ কাপ, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, ডিম ৪টা, ময়দা ১ কাপ, গোলমরিচগুঁড়া ১ চা চামচ, কাঁচামরিচকুচি ২ টেবিল চামচ, বাটার ২৫০ গ্রাম, ঘি আধা কাপ, বেকিং পাউডার ১ চা চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি : প্রথমে একটি বাটিতে শাপলা ফুলকুচি, পেঁয়াজকুচি, কাঁচামরিচকুচি, গোলমরিচগুঁড়া, ধনেপাতা দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে, আরেকটি পাত্রে ডিমের সাদা অংশ লেবুর রস দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে। অন্য একটি পাত্রে ময়দা, বেকিং পাউডার ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। তার পর এতে একটু একটু করে ডিমের সাদা অংশ মিশাতে হবে। এর পর গলানো বাটার, ঘি, ভ্যানিলা এসেন্স ও ডিমের হলুদ অংশ একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে, সব মিশ্রণ বাটিতে ঢেলে পরিমাণমতো লবণ দিয়ে ভালোভাবে মাখাতে হবে। মাখানো হয়ে গেলে একটি ওভেন-প্রুফ কেকের বাটিতে ঘি মাখিয়ে তার ওপর ফয়ের পেপার অথবা সাদা কাগজ বিছিয়ে তাতে সবজি মিশ্রণ ঢেলে দিতে হবে। ১৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় নর্মাল ওভেনে ২৫-৩০ মিনিট বেক করতে হবে অথবা গ্যাসের চুলায় হালকা আঁচে ননস্টিক ফ্রাইপ্যানেও আপনি তৈরি করতে পারেন সবজি কেক।

ইলিশ পুরে দই করলা
উপকরণ : করলা ২৫০ গ্রাম, টকদই ৫০০ গ্রাম, মিষ্টিদই ২৫০ গ্রাম, তেল ভাজার জন্য, লবণ স্বাদমতো, বিট লবণ পরিমাণমতো, জিরাগুঁড়া ২ চা চামচ, ধনিয়াগুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা চামচ, গোলমরিচগুঁড়া আধা চা চামচ, সামান্য লবণ দিয়ে মাখানো ইলিশ মাছ কিমা ১ কাপ, সরিষার তেল আধা কাপ।
প্রণালি : প্রথমে করলার বিচি বের করে একটু লবণ মেখে সামান্য ভাপিয়ে নিতে হবে। এবার ইলিশের পুর করলায় দিয়ে তেলে সামান্য ভেজে তুলে রাখুন। এর পর একটি বাটিতে টকদইয়ের সঙ্গে একে একে মিষ্টিদই, মরিচগুঁড়া, লবণ, বিট লবণ, জিরাগুঁড়া, ধনিয়াগুঁড়া এবং গোলমরিচগুঁড়া দিয়ে ভালোমতো মিশিয়ে দিন। এবার কড়াইয়ের গরম তেলে মসলা ভালোভাবে কষিয়ে নিয়ে পুর ভরা করলা দিয়ে মাখামাখা হয়ে এলে নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

নারকেল ঝিঙে বড়া
উপকরণ : ঝিঙে ২টি, নারকেলবাটা ১ কাপ, হলুদগুঁড়ো পৌনে চা চামচ, কাঁচামরিচকুচি ১ চা চামচ, ধনেপাতাকুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী।
ব্যাটারের জন্য : বেসন ১ কাপ, চালের গুঁড়া আধা কাপ, হলুদ ও মরিচগুঁড়া সামান্য।
প্রণালি : ঝিঙে খোসা ফেলে দিয়ে মাঝারি আকারে কেটে নিয়ে ভাপিয়ে রাখুন। এবার নারকেল বাটার সঙ্গে বাকি সব উপকরণ মেখে ঝিঙের ভেতরে দিয়ে বেসনের ব্যাটারে চুবিয়ে তেলে ভেজে পরিবেশন করুন।

প্রকাশ :আগস্ট ১১, ২০১৮ ১:০৬ অপরাহ্ণ