দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নৈশপ্রহরীকে খুন এবং জড়িত সন্দেহে একজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বীরগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। নৈশপ্রহরী সুরুজ আলী খুনের ঘটনায় তার বোন তারা বানু বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১১। অপরটি গণপিটুনি দিয়ে পুড়িয়ে রবিউল হত্যার ঘটনায় ৫নং সুজালপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্যপুলিশ অতুল দেবনাথ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২০০/৩০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-১২।
এদিকে শুক্রবার গণপিটুনিতে নিহত রবিউল ইসলামের মা রওশনারা বেগম (৫২) ও তার বোন সুলতানা বেগমকে (৩২) নৈশ্যপ্রহরী হত্যা মামলায় আটক দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত দুইজনকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে কড়া পুলিশি পাহাড়ায় বৃহস্পতিবার রাতেই স্থানীয় কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও ওই এলাকায় যে কোন পরিস্থিতির মোকাবেলায় পুলিশ মোতায়েন ছিল।
তবে রবিউল কেন ওই তিনজনকে কুপিয়েছিল তার সঠিক কারণ জানা যায়নি। এব্যাপারে পুলিশ বলছে ঘটনার তদন্ত চলছে। রবিউল ইসলাম মাদকাসক্ত ছিল বলে পুলিশ স্বীকার করেছেন। এলাকাবাসীর দাবি, রবিউল একজন সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্ত ছিল। এর আগেও সে কয়েকজনকে কুপিয়েছে।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাকিলা পারভীন এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোন মহল যেন কোন প্রকার চক্রান্ত করতে না পারে এবং এলাকায় শান্তি শৃংখলা বিঘ্ন না করতে পারে এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় লোকজনকে সজাগ থাকার অনুরোধ করেছেন। অযথা কাউকে হয়রানী করা হবে না বলে সকলকে তিনি আশ্বস্থ করেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের বীরগঞ্জের সুরুজ আলী নামে এক নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে হত্যা এবং দুইজনকে ছুরিকাঘাতে আহত করে দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় জড়িত সন্দেহে রবিউল ইসলাম নামে একজনকে বিক্ষুব্ধ জনতা গণপিটুনি দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে।