স্বাস্হ্য ডেস্ক:
সমস্যা দেখা দিয়েছিল জরায়ুতে। আর তার জেরে শরীর থেকে বাদ পড়েছিল জরায়ু। তারপরও হার মানেননি গুজরাটের এই নারী। মা হওয়ার অদম্য স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে গেছেন তিনি। যেহেতু তার শরীর থেকে বাদ গেছে জরায়ু, তাই মা হওয়ার জন্য তার সামনে খোলা ছিল একটাই পথ, তা হলো জরায়ু প্রতিস্থাপন। সে মোতাবেক ওই তরুণীর মায়ের জরায়ু প্রতিস্থাপন করা হয় তার শরীরে। আর তারপরই আসে সুখবর!
ভারতের পুনের গ্যালাক্সি কেয়ার হাসপাতালে আপাতত চিকিৎসাধীন ২৭ বছর বয়সী এই তরুণী। প্রায় ৫ মাসের গর্ভবতী তিনি। জরায়ু প্রতিস্থাপনের পর, তিনি গর্ভবতী হয়েছেন। আর ভারতের চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এ ঘটনা বিরল।
ওয়ান ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এসব জানানো হয়েছে। তবে ওই প্রতিবেদনে ওই তরুণীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
তিনিই ভারতের প্রথম নারী যিনি প্রতিস্থাপিত জরায়ু নিয়ে গর্ভবতী হলেন। কেবল ভারতেই নয় গোটা এশিয়াতেই তিনি প্রথম নারী যিনি প্রতিস্থাপিত জরায়ু নিয়ে গর্ভবতী হয়েছেন। বিশ্বের নিরিখে এই ঘটনা নবমতম। এখন অপেক্ষা কেবল তার সন্তানের পৃথিবীর মুখ দেখার। এমন ইচ্ছা নিয়েই দু’চোখ ভরে স্বপ্ন দেখছেন গুজরাটের ওই সন্তানসম্ভবা তরুণী।
পুনের গ্যালাক্সি হাসপাতালের ডক্টর শৈলেশ পুন্তাম্বেকরের নেতৃত্বে চলছে তরুণীর চিকিৎসা। জরায়ু প্রতিস্থাপনের এ কাজটা যে মোটেও সহজ ছিল না তা জানিয়েছেন ড. শৈলেশ। তার ভাষায়, ওই তরুণীর মায়ের জরায়ুটি ২০ বছর ধরে শারীরিক নির্দিষ্ট নিয়মের বাইরে ছিল। সেই জরায়ু প্রতিস্থাপিত করে, তাতে গর্ভধারণের বিষয়টির প্রক্রিয়া অত্যন্ত কঠিন ছিল।
গোটা বিষয়টা নিয়ে বেশ খুশি ওই তরুণী। তিনি বলেন, ‘যে গর্ভ থেকে আমি জন্মেছি আমার মায়ের সেই গর্ভে আমার সন্তান জন্মাবে। আমি খুব খুশি!’