২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৫:৫৯
১৪-০ গোলে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ - সংগৃহীত

১৪-০ গোলে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক:
থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর আগেই উপস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিকেল থেকেই মাঠে বসে ছিলেন ভারতীয় বাংলাভাষী কুচবিহারের বাঙ্গালীরা। প্রথম ম্যাচে ভারতকে সমর্থন করার পর তারাও বসেছিল বাংলাদেশের খেলা দেখতে। একই সাথে সমর্থন জানানোর জন্যও। তা বাংলা ভাষাভাষী এবং বাঙ্গালী বলে।

তাছাড়া এই বাঙ্গালীরা কাজ করেন বাংলাদেশ দলের হোটেলের পাশেই। সাথে ভুটানে বেড়াতে আসা বাংলাদেশী পর্যটরাও উপস্থিত মাঠে।

একদিকে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। অন্যদিকে নবাগত পাকিস্তান দল। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টে আজকের ম্যাচে দুর্দান্ত শুরুর আশা নিয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। সাথে যোগ হওয়া দর্শকদের আকুন্ঠ সমর্থনকে সম্মান দেখিয়ে বিশাল জয়ও তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা দল। বৃহস্পতিবার আসরের ‘বি’ গ্রুপে পাকিস্তানকে ১৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের মতোই শুরু করেছে শামছুন্নাহার,তহুরা, মনিকা, মারিয়ারা। হ্যাটট্রিক সহ চার গোল করেছেন জুনিয়র শামছুন্নাহার। লালসবুজদের আগ্রাসী ফুটবলের কাছে খড় কুটোর মতো উড়ে গেছে পাকিস্তান। এর মাধ্যমে সিনিয়র-জুনিয়র মিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন খেলাতেই জয়ের ধারাই অব্যহত রাখলো বাংলাদেশ। মারিয়া- মনিকাদের পরের ম্যাচ ১৩ তারিখে নেপালের বিপক্ষে।

৮ মাস আগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের প্রথম আসরে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে। দ্বিতীয় আসরে চ্যাম্পিয়নের মতোই শুরু করেছে লাল-সবুজ জার্সিধারী কিশোরীরা। প্রথমবার এই টুর্নামেন্টে খেলতে এসে পাকিস্তানের মেয়েরা যেন চোখে সরষেফুল দেখেছেন।

তিন বছর ফিফার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়েছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানীদের পক্ষে ভালো ফুটবল উপহার দেয়া সম্ভব নয়। কাল এর ব্যতিক্রম করা সম্ভব হয়নি দেশটির অনূর্ধ্ব -১৫ মেয়েদের পক্ষে। তাদের পাড়া মহল্লার দলে পরিনত করে বিশাল জয় তুলে নিয়েছে গোলাম রাব্বানী ছোটনের দলের। এই জয়ে বড় ভ’মিকা রেখেছেন ডিফেন্ডার ছোট শামছুন্নাহার। তার হ্যাটট্রিকে দারুন জয়ে আসর শুরু বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। গোল আরো বেশী হতে পারতো। কিন্তু আনু চিং মগিনি অতি মাত্রায় মিস করলে বাড়েনি গোলের সংখ্যা। তবে এই আসরে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। গতবছর উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালকে ৬-০তে পরাজিত করেছিল তারা।

৭ মিনিটে তহুরা খাতুনের গোল দিয়ে লাল সবুজদের উৎসব শুরু। ১৮ মিনিটে মনিকা চাকমার ফ্রি-কিকে ব্যবধান দ্বিগুন। ২১ মিনিটে তহুরা তার দ্বিতীয় গোল করেন চমৎকার ব্যাক হেডে। ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন ভাসিয়েছিলেন লবটি। ৩৩ মিনিটে নিজের প্রথম গোল করেন হ্যাটট্রিক করা ছোট শামছুন্নাহার। বিরতির পর ৫০ ও ৫৪ মিনিটে আরো দুই বার বল জালে পাঠিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ন করেন তিনি। ৫৭ মিনিটে করেন নিজের চতুর্থ গোল। এর আগে ৪১ মিনিটে অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা এবং ৪২ মিনিটে আঁখি দূরপাল্লার শটে গোল করেন।

প্রথমার্ধে ৬-০ এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ দল বিরতির পর ৬০ মিনিটের মধ্যে আরো ছয় বার বল পাঠায় পাকিস্তানের জালে। ৫৮ মিনিটে সাজেদা নিজের দ্বিতীয় এবং ৬০ মিনিটে আনাই মগিনি গোল করেন। ৮৯ মিনিটে আনাই তার দ্বিতীয় গোল করেন। ৯০ মিনিটে শেষ গোল সিনিয়র শামসুন্নাহারের।

প্রকাশ :আগস্ট ১০, ২০১৮ ১২:৪০ অপরাহ্ণ