ক্রীড়া ডেস্ক:
সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না টিম ইন্ডিয়ার। একার হাতে লড়াইয়ের পরও দলকে ভরাডুবির হাত থেকে বাঁচাতে পারলেন না বিরাট কোহলি। ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর হতাশায় ডুবে ছিলেন কোহলি। আর নিজের এই হতাশার জন্য টিমের টপ অর্ডারকে তুলোধনা করতেও ছাড়লেন না তিনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টে হারের যাবতীয় দায় চাপালেন টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের উপর।
শিখর ধাওয়ান, কেএল রাহুল, মুরলী বিজয়, দীনেশ কার্তিক- টপ অর্ডারের চার প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানই ব্যর্থ। দুই ইনিংসেই ব্রড, অ্যান্ডারসন, স্টোকসদের আগুণে বোলিংয়ের সামনে একাই লড়েছেন কোহলি। দলের বাকি ব্যাটসম্যানদের কোনো দায়িত্ব সামলানোর ব্যাপার ছিল না। বিরাট এমন পারফরম্যান্সে চূড়ান্ত হতাশ হয়ে বললেন, ”লোয়ার অর্ডারকে দেখে আমাদের শেখা উচিত। যদি ইংল্যান্ডের বোলিং এতটাই আক্রমণাত্মক হত তাহলে আমাদের লোয়ার অর্ডার তার সামনে দাঁড়ালো কী করে! ইংল্যান্ডের মাটিতে ইশান্ত আবার নিজেকে প্রমাণ করল। উমেশ বোলার হয়েও ব্যাটসম্যানের মতো কাজ করে গেল। হার্দিক কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু টিমের টপ অর্ডার এভাবে ভেঙে পড়লে কার কী করার থাকতে পারে! শুরুর দিকে নামা ব্যাটসম্যানদের মনে রাখতে হবে যে তারা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। পারফর্ম করতে হবে। নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। সবার আগে টপ অর্ডারের প্রতিটা ব্যাটসম্যানের বাড়ি ফিরে আয়না দেখা উচিত। তাহলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই গেম’র পর নিজেদের অবস্থা জেনে যাওয়া উচিত। পরের ম্যাচগুলোতে আমাদের সবার আগে নির্ভয় হতে হবে। ক্রিকেট উপভোগ না করলে মুশকিল।”
আরেকটু বেশি সাহস দেখাতে পারলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দল জিততে পারত বলে মনে করছেন বিরাট। কোহলি বলেন, ”আমরা সাহস দেখাচ্ছিলাম। কিন্তু ইংল্যান্ডের মতো বোলার কখনওই নিজেদের উপর কাউকে সহজে চেপে বসতে দেবে না। দ্বিতীয় ইনিংসে আমাদের বোলাররা নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করেছিল। আমরা কিন্তু লড়াইটাও ঠিকঠাক করেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারলাম না। পরের টেস্টে সবাই নিশ্চয়ই নিজেদের ভুলগুলো শুধরে মাঠে নামবে বলে আশা করি।”