১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ইং | ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ২:১৯
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

গুজব অপপ্রচারে কান দেবেন না : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কোনো ধরনের গুজব ও অপপ্রচারে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে সবাইকে সজাগ থাকার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার সকালে গণভবনে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনকি প্রযুক্তি শিক্ষাগ্রহণের কাজে ব্যবহার করতে হবে। এটি যেন অপব্যবহার করা না হয়। ফেসবুকে অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে। নোংরা কথাবার্তা ব্যবহার যেন না হয়।

শিক্ষক ও অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনার ছেলেমেয়েদের ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যান। তাদের লেখাপড়ায় মনোযোগী করান। তাদের স্কুল-কলেজে পাঠান। লেখাপড়ার পরিবেশ তৈরি করুন। তাদের দাবি-দাওয়া পূরণ করা হচ্ছে।

কেউ কেউ দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রদের মাঝে এখন তৃতীয়পক্ষ ঢুকে পড়েছে। তাই নিরাপত্তার জন্য ছাত্রদের রাস্তা থেকে ঘরে ফেরার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যথেষ্ট হয়েছে, আর না। এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে। লেখাপড়ায় মনোযোগ দিতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, তৃতীয়পক্ষ মাঠে নেমেছে। ঢাকার বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসেছে এখানে। তাদের কাজ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা। যখনই আমি এটি জেনেছি, আমি আতঙ্কিত বোধ করছি।

‘শিক্ষার্থীদের এখন যদি কিছু হয়, তবে এর দায়িত্ব কে নেবে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সড়কে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা নিশ্চিতে রোববার থেকে পুলিশ সপ্তাহ পালনের কথা বলেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদের দাবি-দাওয়া যা ছিল, সবই একে একে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, যেখানেই স্কুল, সেখানেই ট্রাফিক থাকবে, রাস্তা পারাপার করিয়ে দেবে। আন্ডারপাস করা হবে। ওভারব্রিজ হবে, তবে তা যেন ব্যবহার করে।

রাস্তায় চলাচলে ট্রাফিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কুল থেকেই ট্রাফিক রুল শেখাতে হবে। স্কুলের সামনেই ট্রাফিক থাকবে, জেব্রা ক্রসিং থাকবে, যেখানে আন্ডারপাস প্রয়োজন তার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।
দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, তা যতদূর সম্ভব রোধ করতে হবে। দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ছাড়া আহত হন বেশ কয়েকজন।

নিহতরা হলেন- শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মীম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব।

এ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এর পর থেকে ঢাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোয় বাস চলাচল একেবারেই কমে যায়। এমনকি আন্তঃজেলা বাস চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।

প্রকাশ :আগস্ট ৫, ২০১৮ ৩:২৭ অপরাহ্ণ