নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনকে কেউ দলীয়ভাবে সমর্থন দিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
শনিবার দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেতুমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে থেকে কেউ যাতে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে না পারে তার জন্য অনুপ্রবেশকারীদের গতিবিধি গোয়েন্দাবাহিনী লক্ষ্য রাখছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ৯টি দাবি আমলে নিয়ে বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেছে। মালিক, চালক ও হেলপারকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। আমার মনে হয়, এর মধ্য দিয়ে এ পরিস্থিতিতে সরকার তার জরুরি কাজটি করে ফেলেছে।
‘দুই পরিবারকে ডেকে সান্ত্বনা ও সহায়তা করা হয়েছে। তাদের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন। ওই দুই পরিবারও শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, এরমধ্যে দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় আন্ডারপাস করার কাজও করা হচ্ছে, এটি সেনাবাহিনী করছে। স্পিড ব্রেকারের দাবির প্রেক্ষিতে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে রাম্বলস্ট্রিটও করা হবে। ফিটনেসবিহীন সব গাড়ির রুট পারমিট বাতিল করা হবে। ইতিমধ্যে বিআরটিএ এর কাজও শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির যৌক্তিকতা খুঁজে পেয়েছি। এগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন। তাদের প্রতিবাদের কণ্ঠকে স্বাগত জানিয়েছি। এখানে কোনো গোপনীয়তা নেই। যারা কোমলমতিদের আন্দোলনে ঢুকে রাজনীতির বিষবাষ্প ছড়াতে এবং নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়, তাদের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দমন না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশ ধৈর্যধারণ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। শান্তির স্বার্থে শিক্ষার্থীদের বাড়ি/ক্যাম্পাসে ফেরাতে অভিভাবকসহ সবার সহযোগিতা চেয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগের যে দাবি করেছে তার জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির মতো নালিশ পার্টির টপ টু বটম নেতারা পদত্যাগ করলে দেশের মানুষ স্বস্তি পাবে। বাস চালক ও শ্রমিকদের অঘোষিত আন্দোলনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শঙ্কায় চালকরা নামতে চাইছে না। আমরা নামাতে চেষ্টা করছি।
এর আগে ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, একেএম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপদফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।