ক্রীড়া প্রতিবেদক:
ফ্লোরিডায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ দুটি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য রোমাঞ্চকর এক অভিজ্ঞতাই হবে বলে মনে করেন সাকিব আল হাসান।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এই প্রথম মাঠে নামবে বাংলাদেশ। রোববার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিকে রোমাঞ্চকর এক অভিজ্ঞতা হিসেবেই দেখছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে খেলা, দ্বিতীয়ত ফ্লোরিডার মাঠে প্রচুর সমর্থনের প্রত্যাশা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরটা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য মিশ্র অভিজ্ঞতার। টেস্ট সিরিজে যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্সের পর ওয়ানডে সিরিজটা জিতে নিজেদের অন্তত প্রমাণ করা গেছে। যদিও সেন্ট কিটসে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারই হয়েছে সঙ্গী, কিন্তু ফ্লোরিডার নতুন আবহে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী গোটা দল। অধিনায়ক সাকিব এখানে দর্শক-সমর্থনকেই দলের বড় শক্তি বলে মনে করছেন, ‘সবার জনই ফ্লোরিডার মাঠে খেলাটা রোমাঞ্চকর হওয়া উচিত। মাঠে প্রচুর বাংলাদেশি সমর্থক থাকবে। তাই আমি মনে করি এখানে সময়টা দারুণ কাটবে আমাদের।’
সাকিবের জন্য যুক্তরাষ্ট্র নতুন কিছু নয়। শ্বশুরবাড়ি এখানে হওয়ায় বছরে বেশ কয়েকবার আসা–যাওয়া তাঁর। এ ছাড়া ফ্লোরিডার সেন্ট্রাল ব্রোওয়ার্ড রিজিওনাল পার্ক স্টেডিয়ামও সাকিবের কাছে অতিপরিচিত। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সৌজন্যে এ মাঠে আগে বেশ কয়েকবার খেলেছেন সাকিব। তবে মাঠের সঙ্গে পূর্বপরিচিতি থাকলেও বর্তমান সময়ে উইকেট সম্পর্কে আগেই কিছু আন্দাজ করতে পারছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘ গত বছর আমি যখন এখানে সিপিএলের ম্যাচ খেলেছি, তখনকার উইকেটের সঙ্গে এবার পার্থক্য অনেক। অনুশীলনে বোঝা যাবে কেমন উইকেট হবে। কারণ গতকাল আমরা সাইড নেটে অনুশীলন করেছি, তাই এখনো উইকেট সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা নিতে পারিনি।’
সিরিজে টিকে থাকার এই ম্যাচের একাদশ নিয়ে কোনো ইঙ্গিত দেননি সাকিব। তবে রোববার একাদশে কারা থাকবেন, সেটি উইকেট দেখেই ঠিক করবেন বলে জানিয়ে রেখেছেন তিনি, ‘অনুশীলন করে, উইকেট দেখে আমরা ভাবব, কেমন একাদশ হওয়া উচিত। কারণ দেখতে এক রকম হলেও অনেক সময় এক রকম হয় না। অনুশীলনের পর ভালো বলা যাবে। তবে দেখে যেটা মনে হলো গত বছরের চেয়ে একটু ভালো হবে।’