নিজস্ব প্রতিবেদক:
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা জানিয়ে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গার অপসারণ চেয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ দাবি জানান।
‘বৈদেশিক অর্থায়নে পরিচালিত এনজিও খাত : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ এবং করণীয়’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শাজাহান খান নৌমন্ত্রীর পাশাপাশি বাংলাদেশে শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্বেও আছেন। আর পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতির পদে রয়েছেন।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এমন দৃষ্টান্ত খুবই কম যে- একই ব্যক্তি শ্রমিক ইউনিয়ন, মালিক ইউনিয়নের প্রধানের পাশাপাশি মন্ত্রীর দায়িত্বেও থাকেন। এটি দেশে নতুন ঘটনা নয়, দীর্ঘদিন ধরেই এটি চলছে। যার ফলে অরাজকতার জন্য যারা দায়ি তাদের সুরক্ষা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নিরাপদ সড়কের জন্য গত কয়েকদিন ধরে চলা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সাংবিধানিক অধিকার চর্চার আন্দোলন। এ আন্দোলনের প্রতি আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি। আমরা মনে করি এটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন। এটি কোনো রাজনৈতিক বিষয় না। যেভাবে সরকার সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি অবজ্ঞা করেছে, সেটি আমাদের সাংবিধানিক অধিকার অবজ্ঞার শামিল।
পরিবহন খাতের সমস্যা সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে বাস্তব কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, পরিবহন খাতে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাস্তবসম্মত উদ্যোগ আমরা দেখিনি। এর অন্যতম কারণ হিসেবে মনেকরি এ খাত প্রচণ্ডভাবে স্বার্থের দ্বন্দ্বের কাছে জিম্মি।
তিনি বলেন, পরিবহন খাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পুলিশ যেভাবে মোকাবেলা করেছে, পুলিশের যে মৌলিক দায়িত্ব তার সঙ্গে এটি কোনোভাবেই যায় না। সরকারের উচিত আন্দোলনে সহায়তা করা। কেননা এ আন্দোলন যদি সফল হয় তাহলে সব থেকে বেশি লাভবান হবে সরকার।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যদি অন্য কেউ এ আন্দোলনেকে অপব্যবহার কারার চেষ্টা করে তবে সরকারের উচিত তা প্রতিহত করা। যে কাজটি কর্তৃপক্ষের করার কথা, সে কাজটিই শিক্ষার্থীরা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। এর মধ্যে কোনো ষড়যন্ত্র খুঁজে বেড়ানো আর একটি মৌলিক অপরাধ হবে বলে মনে করি।