আদালত প্রতিবেদক:
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইলে দায়েরকৃত মানহানি মামলায় জামিন আবেদন শুনানি শেষে হয়েছে। জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী রবিবার (৫ আগস্ট) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদ শুনানী শেষে আদেশের এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৯ জুলাই নড়াইলের দায়রা জজ আদালতে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন শিকদার জামিনের আবেদন করলে ২৯ জুলাই শুনানীর জন্য দিন ধার্য করেন। গত ২৯ জুলাই জামিন বিষয়ে শুনানীর সময়ে রাষ্ট্র পক্ষে পিপি অ্যাডভোকেট মো. এমদাদুল ইসলাম জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করলে আদালত ২ আগস্ট শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) উভয় পক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে ৫ আগস্ট জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া তাঁর বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক আছে বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।
তাঁর এই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচার হয়। মামলার বাদী নড়াইলের কালিয়ার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম নড়াইল জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে বসে এ খবরটি পড়ে মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ হন।
পরে রায়হান ফারুকী বাদি হয়ে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট খালেদা জিয়াকে স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। নির্ধারিত সময়ে খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।