২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:১৯

দায়িত্বে অবহেলা : ফল পায়নি কারিগরির ৩৫ প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দায়িত্বশীলদের অবহেলার কারণে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। ফলে প্রায় ১৩ শ’ শিক্ষার্থীর এবার এসএসসি উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব হয়নি।

 এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কারিগরি বোর্ডের দায়িত্বশীলরা। আর ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফলাফল যোগ না হওয়ার কারণে এবার পাশের হার কমে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার ছিল ৮৩.১১ শতাংশ। এবার সেই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৭৮.৬৯ শতাংশ।
৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফল না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী সুশীল কুমার পাল পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ৩৫টি প্রতিষ্ঠান গাফিলতি করেছে। তাদের কারণে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর ফলাফল আসেনি।
তিনি বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ফল পাঠাতে আমরা ৩ বার সতর্ক করে নোটিশ দিয়েছিলাম। তাতেও কাজে আসেনি।
সুশীল কুমার বলেন, মূল খাতা আছে, প্র্যাকটিক্যাল খাতা আছে- আরও কিছু বিষয় আছে। ধাপে ধাপে ফলাফল আসার কথা। কিন্তু আজকে আমরা ফল প্রকাশ করেছি, অথচ দেখা গেছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আজ ফল পাঠিয়েছে। এখন এই ফল আমরা কিভাবে প্রকাশ করবো?

কতজন শিক্ষার্থী এ কারণে ফলবঞ্চিত হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সঠিক সংখ্যাটি বলতে পারছি না। তবে ১২৮০ জন এর মতো হবে।

এ বিষয়ে বোর্ডের কোনো ধরণের সিদ্ধান্ত আছে কিনা জানতে চাইলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, যদি ওরা দরখাস্ত করে তাহলে আমরা বিষয়টি দেখবো। আর যেসব কেন্দ্রে এ ধরণের গাফিলতি হয়েছে, সেসব কেন্দ্র আমরা বাতিল করে দিবো। যাদের গাফিলতির কারণে ছাত্রদের ক্ষতি হচ্ছে, তাদের আর রাখা যাবে না।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এরা কোনো বিজ্ঞপ্তিই মেইনটেইন করে না।

বোর্ডের পাশের হার কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে সুশীল কুমার পাল বলেন, ৩৫ টি প্রতিষ্ঠানের ফল আসলে পাশের হার আরও বাড়তো। আর এবার পরীক্ষাটা আমরা খুব সুন্দরভাবে নিয়েছি। নতুনভাবে সবকিছু সাজিয়েছি।

তিনি বলেন, আসন বন্টন, প্রশ্ন, খাতা মূল্যায়ন, ভেন্যু নির্ধারণ সবকিছুই যথাযথভাবে করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনও আমাদের হেল্প করেছে খুব। ফরম পূরণসহ অন্য বিষয়ে দেরিতে কোনো কিছু এলাও করি নি। এসব কারণেই ফলাফল একটু কমেছে, তবে পরীক্ষা পদ্ধতিটি যথাযথ হয়েছে।

এ বিষয়ে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

প্রকাশ :মে ৪, ২০১৭ ১২:৪২ অপরাহ্ণ