আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গত সপ্তাহে কাতারে জঙ্গি সংগঠন তালিবান নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এক কূটনীতিক বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। তালিবান সূত্র বিষয়টি বিবিসিকে জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েলসের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে তালিবানের এক নেতা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি আফগানিস্তানের জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের নির্দেশনা-সংক্রান্ত খবর বেরোয়।
দীর্ঘদিন ধরেই তালিবান বলে আসছে, তারা শান্তি নিয়ে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী।
আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতিতে জঙ্গিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা ওয়াশিংটনের নীতির গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচনা হচ্ছে।
সর্বশেষ গত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিন দিনের অস্ত্রবিরতি পালন করে উভয় পক্ষ।
বৈঠকের বিষয়ে প্রথম খবর প্রকাশ করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। কাবুলে বিবিসির প্রতিনিধি মাহফুজ জুবাইদকে তালিবানের দুই নেতা বিষয়টি জানান। কাতারের দোহায় রাজনৈতিক অফিসে তালিবান নেতা আব্বাস স্তানিকজাইয়ের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল মার্কিন দূতের সঙ্গে বৈঠক করে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর দায়িত্বে থাকা অ্যালিস ওয়েলস গত সপ্তাহে কাতারে ছিলেন। দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। তবে তালিবানের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে কিছু জানায়নি।
তালিবানের এক নেতা বলেন, প্রাথমিক আলোচনাটি আরো আলোচনার ক্ষেত্র তৈরির জন্য হয়েছে।
তালিবানের আরেক নেতা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা শিগগিরই আরেকবার বৈঠকের ব্যাপারে একমত হয়েছি। আফগানিস্তানে সংঘর্ষ আমরা সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করব।’
জানা গেছে, এ ধরনের বৈঠক আরো দুবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে তা কেউ নিশ্চিত করেনি।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায়। তালিবান ক্ষমতাচ্যুত হয়। এরপর ১৭ বছর ধরে দেশটিতে যুদ্ধ-সংঘর্ষ লেগে রয়েছে।