২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:০৫

‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩ , অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

জেলা প্রতিবেদক:
রাজবাড়ী
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে লালন হালদার (৪০) নামে এক চরমপন্থী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার হাবাসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় দুই কনস্টেবল আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত লালন পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত জীতেন হালদারের ছেলে। তিনি পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) মো. ফজলুল করিম বলেন, চরমপন্থী লালন ও তার দলের অন্য সদস্যরা পাংশা উপজেলার হাবাসপুর এলাকায় পদ্মা নদীর তীরে গোপন বৈঠক করছিল। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশ সেখানে পৌঁছালে চরমপন্থী দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় লালন গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি একনালা বন্দুক, একটি ওয়ান শুটারগান ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এ সময় কনস্টেবল সাধন ও শাহজাহান আহত হয়েছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সঙ্গে ‌’বন্দুকযুদ্ধে’ এক ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম হজরত আলী, বয়স ৪২ বছর।

জানা গেছে, উপজেলার পাইকপাড়ার শ্মশানঘাট এলাকায় বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুইটি শুটার গান, ১৪টি কার্তুজ, একটি কুড়াল, একটি হাসুয়া ও তিন রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১২ এর স্পেশাল কোম্পানি সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাকিবুল ইসলাম খান।

কুমিল্লা

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত দলের দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে ডাকাত দলের ১২/১৩ জন সদস্য ডাকাতির প্রস্তুতি নিলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালালে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহতেরা হলেন- কুমিল্লার তিতাস উপজেলার উত্তর মানিকনগরের খোরশেদের ছেলে আল-আমিন (৩০) ও কুমিল্লার বুড়িচং থানার কংশনগর চরেরপাড় গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে এরশাদ (৩২)। নিহতরা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য বলে দাবি করেছে পুলিশ। এসময় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘটনাস্থল থেকে দুইটি দেশি এলজি, চার রাউন্ড কার্তুজ, তিনটি ছোরা ও লোহার রড জব্দ করা হয়েছে।

প্রকাশ :জুলাই ২৭, ২০১৮ ৯:২১ পূর্বাহ্ণ