২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:০১
ফাইল ছবি

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ইমরান খান!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন ইমরান খান। দেশটির ১১তম জাতীয় নির্বাচনে নওয়াজ শরিফের দলের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ আসনে জয়ী হয়ে এগিয়ে রয়েছে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই)। তবে এ ফল প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরিক ই ইনসাফ ছাড়া মুসলিম লীগ নওয়াজ এবং পাকিস্তানে পিপলস পার্টিসহ বেশিরভাগ দল।

পাকিস্তানী সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়, গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফলে তেহরিক-ই-ইনসাফ পেয়েছে ১১৩টি আসন। আর মুসলিম লীগ-নওয়াজ পেয়েছে ৬৪টি আসন। এছাড়া, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি পেয়েছে ৪৩টি, এমকিউএম পাঁচটি এবং এমএমএ নয়টি আসন লাভ করেছে।
খবরে আরও বলা হয, আজ বৃহস্পতিবার পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করবে।

এদিকে বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকেই নিজেদের দলের বিজয় ঘোষণা দিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠে পিটিআই সমর্থকরা। এ সময় তারা রাস্তায় নেমে আসে। মধ্যরাতে পিটিআইর অফিসিয়াল ফেসবুক পাতায় ইমরান খানকে ‘উজিরে আজম’ সম্বোধন করে অভিনন্দন জানানো হয়।

এদিকে পাকিস্তানের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে। পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ভাই শাহবাজ শরীফ লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘নির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপি হয়েছে এবং এর ফলাফলে জনগণের প্রকৃত রায়ের প্রতিফলন ঘটেনি।’

পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো নির্বাচনের ফলাফলকে ‘অযৌক্তিক ও অসঙ্গত’ আখ্যা দিয়ে এ ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। পাকিস্তানের অন্যান্য রাজনৈতিক দলও নির্বাচনের ফলাফলের ব্যাপারে কঠোর আপত্তি জানিয়েছে।

তবে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের প্রধান (সিইসি) মুহাম্মাদ রাজা খান বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের স্থানীয় সময় ভোর ৪টায় রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দাবি করে করে বলেছেন, ‘নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে।’

পাকিস্তানের ৩৪২ আসনবিশিষ্ট জাতীয় পরিষদে সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২৭২টি আসনে। বাকি আসনগুলো সংরক্ষিত। বুধবার পাকিস্তানের ১১তম সাধারণ নির্বাচন ও চারটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। রেকর্ড সংখ্যক সেনা সদস্যের উপস্থিতি সত্ত্বেও দেশজুড়ে তুমুল সহিংসতা ও প্রাণহানির মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হয়।

তবে এককভাবে সরকার গঠন করতে হলে জিততে হবে কমপক্ষে ১৩৭ আসনে। তবে ঘোষিত প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী আশা করা হচ্ছে এককভাবে সরকার গঠনে সক্ষম হবে না ইমরান খান। ইমরান খানকে সরকার গঠন করতে গেলে জোট করতে হবে বিজয়ী অন্য কোনো দলের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী হতে সেক্ষেত্রে দ্বারস্ত হতে হবে অন্য কোনো দলের।
তবে তা নিয়ে ভাবছেন না পিটিআইর সমর্থকরা। দেশের বিভিন্ন স্থানে পিটিআইর কার্যালয়গুলোতে উল্লাস করছেন তারা।

প্রকাশ :জুলাই ২৬, ২০১৮ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ