নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুব শিগগিরই যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা করে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে এবং সেই তালিকা ধরে তাদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে তিনি একথা জানান।
শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযুদ্ধ সমন্বয় পরিষদ এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদ এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করে। সকালে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন শাজাহান খান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীরা চায় না দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক। তারা তা হতেও দেবে না। তারাই সুকৌশলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের আন্দোলনকে বেগবান করছে। তারা কোটা বাতিলে নানা রকম ইন্ধন দিচ্ছে।’
২০০৪ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ইসলামী ছাত্রশিবির সর্বপ্রথম এই মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের জন্য প্রকাশ্যে দাবি উত্থাপন করে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, “সেদিনের সেই অপচেষ্টার পর এখন ‘কোটা সংস্কার’ নামে আন্দোলন করছে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা।”
এ অবস্থায় যুদ্ধাপরাধীদের সব চক্রান্ত নস্যাৎ করতে ও দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় খুব শিগগিরই সব যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা করে তাদের বিচার করতে হবে বলে জানান শাজাহান খান।
একই সঙ্গে এই তালিকা অনুযায়ী তাদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম পরিষদের সদস্যবৃন্দসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। এসময় যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সন্তান ও তাদের বংশধরদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বন্ধ করাসহ মোট ছয় দফা দাবি জানান তারা।