আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বাংলাদেশে প্রায় ৬ লাখ মানুষ আধুনিক দাসত্বের অধীনে বাস করছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ‘গ্লোবাল স্লেভারি ইনডেক্স’ বা বৈশ্বিক দাসত্ব সূচকে এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। সূচকে ১৬৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯২তম।
জোরপূর্বক বা বাধ্যতামূলক শ্রম, যৌন বাধ্যকতা ও জোরপূর্বক বিয়ে ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয় আধুনিক দাসত্বের ক্ষেত্রে। এসব বিষয় বিবেচনা করে সূচকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতি ১০০০ মানুষের মধ্যে গড়ে ৩.৬৭ জন ব্যক্তি আধুনিক দাসত্বের অধীনে বাস করছে।
অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন’(ডব্লিউএফএফ)অনুসারে, আধুনিক দাসত্ব হচ্ছে একটি জটিল ও প্রায়শই গোপন থাকে এমন একটি অপরাধ। সীমান্ত, দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্র ও বিচারব্যবস্থাজুড়ে এর উপস্থিতি বিদ্যমান।
এদিকে, পাকিস্তানী সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাসত্ব সূচকের শীর্ষে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও ইরিত্রিয়া। এছাড়া, শীর্ষ পাঁচে রয়েছে, মধ্য-আফ্রিকান দেশ বুরুন্ডি।
মিন্ডেরু ফাউন্ডেশনের গবেষণা বিষয়ক প্রধান ফিয়োনা ড্যাভিড বলেন, এই প্রত্যেকটি দেশেই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় জোরপূর্বক শ্রম আদায় করা হয়। দেশগুলোর সরকার নিজের সুবিধার্থে জনগণের ওপর শ্রম চাপিয়ে দেয়।
ডব্লিউএফএফ অনুসারে ২০১৬ সালে, বিশ্বজুড়ে আধুনিক দাসত্বের অধীনে বাস করতো ৪ কোটিরও বেশি মানুষ। তৎকালীন সময়ে ডব্লিউএফএফ বলেছিল, আধুনিক দাসত্বের অধীনে বাস করা বিশ্বের ৫৮ শতাংশ মানুষের বসবাস হচ্ছে চীন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানে।আধুনিক দাসত্বের অধীনে বাস করা সবচেয়ে বেশি মানুষের বসবাস ছিল ভারতে।
তবে শতাংশের দিক দিয়ে এগিয়ে ছিল উত্তর কোরিয়া। আর বর্তমানেও সে অবস্থা স্থির আছে। দাসত্ব সূচক অনুসারে, দেশটিতে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন ব্যক্তি আধুনিক দাসত্বের শিকার।
আধুনিক দাসত্ব সূচকের শীর্ষে অবস্থানকারী পাঁচটি দেশ হচ্ছে যথাক্রমে, উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, দক্ষিণ সুদান ও পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে আধুনিক দাসত্বের অধীনে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ৪ লাখের বেশি।