নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রশ্ন ফাঁস করে নয়, পড়াশোনা করেই কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে হলে শিক্ষিত জাতি গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে গণভবনে এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা জানান।
দীর্ঘ সময় না নিয়ে পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী কম সময়ে ফলাফল প্রকাশ করায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘একটা ছোট্ট অনুরোধ আপনাদের কাছে আমার থাকবে, সেটা হলো পরীক্ষার সময়টা। পরীক্ষার একটা দীর্ঘ সময়, সেই ২ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২৪ মে পর্যন্ত পরীক্ষা। এই এত দীর্ঘ সময় রেজাল্ট দিতেও আপনারা নিলেন না, কিন্তু পরীক্ষা নিতে যত বেশি সময় নিয়েছেন। সেখানে কিভাবে পরীক্ষার সময়টা কমিয়ে আনা যায়।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এই পরীক্ষার সময়টা এত লম্বা, দীর্ঘ না করে আরও একটু কমিয়ে নিয়ে আসার যদি ব্যবস্থা করতে পারেন তাহলে ছেলেমেয়েরাও পড়াশুনা করবে, পরীক্ষাটাও তারাতারি হবে। আর এতে নানা ধরনের কথা, অপপ্রচারের হাত থেকে মুক্ত হওয়া যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
বিজ্ঞান, গবেষণা এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা ও শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিতে উন্নতির পাশাপাশি সার্বিকভাবে শিক্ষাকে সর্বদিক থেকে উন্নত করাই সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা অনেক অনেক বেশি মেধাবী। আর এই মেধাকে কাজে লাগতে হবে দেশ গড়ার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব যখন এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরকেও সেই সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি।’
প্রশ্ন ফাঁসের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগে বদনাম হতো প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। কিন্তু এটা শুধু আমাদের দেশের সমস্যা না। অনেক উন্নত দেশেও এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। কারণ ডিজিটাল হওয়াতে ডিজিটালের যেমন সুফল আছে, তেমন কুফলও দেখা যায়। খুব তাড়াতাড়ি সেটা প্রচার হয়ে যায়।’
এবারের পরীক্ষা পদ্ধতির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবার যে পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে সেটা খুব চমৎকার। আধা ঘণ্টা আগে শিক্ষার্থীরা চলে যাবে পরীক্ষার হলে। কোন সেটটা নেওয়া হবে সেটা ২৫ মিনিট আগে জানানো হয়। এর ফলে নকল বন্ধ হয়েছে।’