নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের হাতে নির্যাতিত আরও ৩৮ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত গেজেট জারি করেছে সরকার। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৫৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বীরাঙ্গনারা এ স্বীকৃতি পেলেন। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গনার সংখ্যা হল ২৩১ জন।
৩৮ বীরাঙ্গনার মধ্যে রংপুর বিভাগের স্বীকৃতিপ্রাপ্তরা হলেন- নীলফামারীর জলঢাকার মোছা. শাহেলা বেগম, লালমনিরহাটের শেফালী রানী, মোছা. রেজিয়া, মোছা. মোসলেহা বেগম, শ্রীমতি জ্ঞানো বালা এবং ঠাকুরগাঁওয়ের মোছা. আমেনা বেওয়া।
চট্টগ্রাম বিভাগের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গনারা হলেন- চট্টগ্রামের পটিয়ার আছিয়া বেগম, ফেনীর ছাগলনাইয়ার রহিমা বেগম ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আফিয়া খাতুন খঞ্জনী।
রাজশাহী বিভাগের স্বীকৃতিপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাট সদরের খঞ্জনপুরের মোসা. জাহানারা বেগম, সিরাজগঞ্জের তাড়াশের অর্চনা সিংহ ও মৃত পচি বেওয়া, নওগাঁ সাপাহারের তিলনা রাজবংশীপাড়ার মৃত পান বিলাসী, নাটোর বড়াইগ্রামের মোছা. হনুফা।
খুলনা বিভাগের স্বীকৃতিপ্রাপ্তরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মোছা. ওজিফা খাতুন, দয়ারানী পরামানিক, মোছা. রাবেয়া খাতুন, কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মাছুদা খাতুন, মোছা. মোমেনা খাতুন, মোছা. এলেজান নেছা, কুষ্টিয়া সদরের আলমপুরের মৃত রাজিয়া বেগম এবং বাগেরহাটের রামপাল কুবলাইয়ের মোসা. ফরিদা বেগম মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন। বরিশাল বিভাগে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গনারা হলেন- ঝালকাঠি সদরের নথুল্লাবাদের সীমা বেগম এবং বীরকাঠির মোসা. আলেয়া বেগম।
ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দির মোছা. মহিরন বেওয়া, মোছা. আকিরন নেছা, মোছা. জতিরন বেওয়া, মোছা. হাসনে আরা, মোছা. হাজেরা বেগম (পিতা মৃত উমেদ আলী) ও হাজেরা বেগম (পিতা মৃত হাসেন আলী) এবং শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মৃত ফিরোজা খাতুন।
ঢাকা বিভাগের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গনারা হলেন- শরীয়তপুর সদরের মনোহর বাজারের দক্ষিণ মধ্যপাড়া গ্রামের জুগল বালা পোদ্দার, যোগমায়া ও সুমিত্রা মালো, গোপালগঞ্জ সদরের মানিকদির হেলেনা বেগম ও সুলতানশাহীর ফরিদা বেগম এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নোয়াপাড়া বাজারের মোসা. আনোয়ারা বেগম।
এ ছাড়া সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জের মাধবপুরের সন্ধ্যা ঘোষ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন।