অর্থনীতি ডেস্ক:
দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর ৬ কোটি ৯২ লাখ গ্রাহক নিয়ে ২০১৮ এর প্রথমার্ধ শেষ করেছে।
এসময় দেশে গ্রাহক সংখ্যায় এগিয়ে থাকা মোবাইলফোন অপারেটরটির প্রবৃদ্ধি ছিল গতবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। গ্রামীণফোনের ডাটা গ্রাহক বা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪৫ লাখ যা মোট গ্রাহকের ৪৯ দশমিক ৯ শতাংশ।
গ্রামীণফোনের ফোরজি গ্রাহকের সংখ্যা ২০ লাখের বেশি। আজ সোমবার পাঠানো এক প্রেস বিবৃতিতে এসব তথ্য জানায় গ্রামীণফোন। বিবৃতিতে জানানো হয়, এই বছরের প্রথমার্ধে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় হয়েছে ৬ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
ডাটা থেক অর্জিত রাজস্বের প্রবৃদ্ধি ছিল ২১ দশমিক ১ শতাংশ। আর ভয়েস থেকে অর্জিত রাজস্বের প্রবৃদ্ধি হয় ২ দশমিক ৪ শতাংশ।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি বলেন, তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে ২০১৮ এর প্রথমার্ধ ছিল খুবই কঠিন। তবুও আমরা স্বাস্থ্যকর প্রবৃদ্ধি এবং মার্জিন বজায় রাখতে পেরেছি। আমরা ২০ লাখ ফোরজি গ্রাহকের মাইলফলক অতিক্রম করেছি এবং গ্রাহকদের সেরা অভিজ্ঞতা দিতে আমাদের নেটওয়ার্ক বিস্তার ও আধুনিকায়নের কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে চলছে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, গ্রামীণফোন ফোরজি লাইসেন্স, স্পেকট্রাম, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ফি এবং নেটওয়ার্ক কাভারেজ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বছরের প্রথমার্ধে বিনিয়োগ করেছে ২ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা।
এই সময়ে কোম্পানি কর, ভ্যাট, শুল্ক, স্পেকট্রাম বরাদ্দ, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ও লাইসেন্স ফি আকারে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ৪ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা দিয়েছে। গ্রামীণফোনের সিএফও কার্ল এরিক ব্রোতেন বলেন, বছরের প্রথমার্ধে গ্রামীণফোনের ইবিআইটিডিএ এবং মার্জন দুটোই বেড়েছে। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আমরা ইতিবাচকভাবে ২০১৮ এর প্রথমার্ধ শেষ করতে পেরেছি। তিনি আরো বলেন, আমি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে গ্রামীণফোনের বোর্ড পরিশোধিত মূলধনের ১২৫% অন্তবর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছেন।
একনজরে ২০১৮ এর প্রথমার্ধ
• জুন ২০১৮ এর শেষে মোট গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটি ৯২ লক্ষ, যার মধ্যে ৩ কোটি ৪৫ লক্ষ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী
• রাজস্ব আয় ৬৩৮০কোটি টাকা, আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ১.২%
• কর পরবর্তী নেট মুনাফা ২৬% মার্জিনসহ ১৭২০ কোটি টাকা, ইপিএস ১২.৭৪ টাকা
• ফোরজি লাইসেন্স, স্পেকট্রাম, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ফি এবং নেটওয়ার্ক কাভারেজ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ ২৫৪০ কোটি টাকা
• রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অবদান ৪৭৯০ কোটি টাকা।