রকমারি ডেস্ক:
এখন ভার্চুয়াল যুগ। ফেসবুক-টুইটার-ইউটিউবের কল্যাণে রাতারাতি সেলিব্রেটি হয়ে যাচ্ছেন যে কেউ। পথের ভিখারি থেকে শুরু করে পরিবারের অপদার্থ লোকটিও এখন সেলিব্রেটি। এসব ভাইরাল রোগের স্থায়ীত্ব কখনো কখনো কম হলেও তাৎক্ষণিক ফলাফল চোখ কপালে ওঠার মতো।
‘মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা’, ‘হিরো আলম’, ‘খান হেলাল’ থেকে শুরু করে ‘অপরাধী’ গান নেটজুড়ে আলোড়ন তুলে দিয়েছে। এমনকি রবীন্দ্রসংগীত ‘বিকৃত’ করে গাওয়া হলেও হঠাৎ কমেন্ট, শেয়ারে ভেসে যায় অন্তর্জালের পাড়া-মহল্লা।
প্রায় সব শ্রেণির মানুষই এসব দেখছে। ইতিবাচক বা নেতিবাচক চিন্তা না করেই মানুষ স্রেফ মজা নিচ্ছে। আবার কিছুদিন পর ভুলে যাচ্ছে। এছাড়া প্রিয়া প্রকাশের চোখ মারাও তো ঝড় তুলেছিল। একটি ইস্যু যেন আরেকটি ইস্যুর নিচে ক্রমশই চাপা পড়ে যাচ্ছে।
এবার তেমনই সেলিব্রেটি হওয়া এক যুবকের কথা জানাচ্ছি। একটি লেবু গড়িয়ে যেতে দেখে তিনি ভিডিও করে রাখলেন। আর তাতেই কোটি ভিউয়ার জুটে গেল তার কপালে। হয়ে গেলেন সেলিব্রেটি। যুবকটির নাম ‘মাইক সাকাসেগাওয়া’।
মাইক হয়তো ভাবতে পারেননি, পথের ধারে পড়ে থাকা একটা লেবু তাকে রাতারাতি সেলেব্রেটি বানিয়ে দেবে! মাত্র চার দিন আগে আপলোড ‘লেমন ভিডিও’ তাকে এনে দেবে প্রায় ১ কোটি ভিউজ!
মাইক সাকাসেগাওয়া একজন লেখক, ফটোগ্রাফার ও পডকাস্টার। শিল্প, সাহিত্য, রাজনীতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা রকম পোস্ট করে চলেন। একদিন পথ চলতে গিয়ে খেয়াল করলেন একটি লেবু গড়িয়ে যাচ্ছে। যাচ্ছে তো যাচ্ছেই। থামার কোনো আলামত নেই। যা হোক, এভাবে প্রায় এক চতুর্থাংশ মাইল আশ্চর্য ভ্রমণ করল সেই লেবুটি।
লেবুর এই অপ্রতিরোধ্য চলা দেখে মাইক ভিডিও করে রাখেন। তারপর সেই ভিডিও আপলোড করে দেন নিজের টুইটারে। তারপর ইতিহাস! মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিওটি। মাইকের ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়তে থাকে হু-হু করে। হয়ে যান সেলিব্রেটি।
মাইক জানান, তিনি মোটেই ‘রসিক’ লোক নন। তার এ কথায় কান দিতে রাজি নয় তার ফলোয়াররা। আশ্চর্য সেই লেবুর কারণে এখন সবাই তার পিছু পিছু চলতে চায়। সবাই হতে চায় তার ‘ফলোয়ার’।