বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের চার্জ শুনানি পিছিয়ে আগামী ১২ আগস্ট পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার মামলাটি চার্জগঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার দুই আসামি মো. আমিনুল হক ও এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর পক্ষে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় সময়ের আবেদন করেন আইনজীবীরা।
অন্যদিকে মামলার প্রধান অভিযুক্ত খালেদা জিয়া অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন বলে আদালতকে অবহিত করে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া তার পক্ষে হাজিরা প্রদান করেন।
পরে পুরান ঢাকার বকশিবাজারে ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কেএসএম শাহ ইমরান সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১২ আগস্ট পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতির মামলায় চার্জশিটভূক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন। কিন্তু জামায়াত নেতা সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায়, সাবেক কৃষি মন্ত্রী এমকে আনোয়ার মারা যাওয়ায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১০ জন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- বেগম খালেদা জিয়া, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশারফ হোসেন ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সময় ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।
কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়।