নিজস্ব প্রতিবেদক:
পুলিশ বাধায় জিয়া পরিষদের একটি সেমিনার ভেস্তে গেছে। পুলিশ বলছে, সংগঠনটি সেমিনার করার জন্য কেউ অনুমতি নেননি। আর সংগঠনের পক্ষে থেকে বলা হচ্ছে, পুলিশ মৌখিক অনুমতি দিয়েছিল।
এ ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আজ শনিবার ঢাকার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে ‘নাগরিক অধিকার, আইনের শাসন এবং গণতন্ত্র বাংলাদেশে প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে জিয়া পরিষদ। সকাল সাড়ে ১০টায় সেমিনারটি শুরুর কথা ছিল।
জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান কবীর মুরাদ বলছেন, সকাল সোয়া ১০টার দিকে পুলিশ এসে বলে, এই অনুষ্ঠানের কোনো অনুমতি নেই। সমাবেশ করা যাবে না। অথচ পুলিশ সেমিনার করার জন্য মৌখিক অনুমতি দিয়েছিল।
সেমিনার করার জন্য ২ জুলাই রমনা জোনের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদারের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছিল উল্লেখ করে জিয়া পরিষদের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লা-হিল মাসুদ বলেন, তখন তিনি (মারুফ হোসেন) কিছু বলেননি। এর দুদিন পর ৪ তারিখে যোগাযোগ করা হলে মারুফ হোসেন সেমিনার আয়োজনের প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে বলেন। যে কারণে সারা দেশ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল।
অথচ মারুফ হোসেন সরদার বলছেন, বিএনপি বা অন্য কেউ রমনায় সেমিনার করার জন্য লিখিত বা মৌখিক অনুমতি নিতে আসেনি। এই কারণে হয়তো তাদের অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়নি।
বেলা পৌনে ১১টার দিকে সেমিনারের প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আসেন। সেমিনার না করতে দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক স্পেস নেই। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। আজকে এখানে কোনো রাজনৈতিক দলের সমাবেশ নয়, অরাজনৈতিক একটি সংগঠনের সমাবেশ ছিল। সেটাও এই সরকার করতে দেয়নি। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানান।
ফখরুল ইসলাম বলেন, এটা খুবই পরিতাপের কথা। দুর্ভাগ্যের কথা যে আজকে বাংলাদেশ সরকারের পুলিশ বিভাগ তারা একটা ভয়ংকর দুঃশাসনের কাজ করছে। পুলিশ অত্যাচার-নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে।