ক্রীড়া ডেস্ক:
ইউনিসেফের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবির পরিদর্শনের জন্য চলতি মাসের ২২ জুলাই বাংলাদেশে আশার কথা রয়েছে লিওনেলি মেসির। বাংলাদেশ সফরে আর্জেন্টিনা সুপারস্টার সুবিধাবঞ্চিত শিশু, নাকি রোহিঙ্গা শিশুদের নিয়ে কাজ করবেন তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।
এর আগে প্রীতি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে এসেছিলেন বার্সেলোনার এই সুপারস্টার। ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নাইজেরিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার প্রীতি ম্যাচের সাক্ষী হয়েছিলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। ঘরের মাঠে বসে এলএম টেনের ফুটবল শৈলী উপভোগ করেছিলো এদেশের ফুটবলপ্রেমীরা।
তবে এবার কোন প্রীতি ম্যাচ নয়, আসতে পারেন ব্যক্তিগত সফরে। ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত পরিচয়ে সংস্থাটির কর্মকাণ্ড দেখতে আসবেন তিনি। মেসি এলে স্বাভাবিকভাবেই যুক্ত হওয়ার কথা শিশুদের সাথে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা একটি বড় ইস্যু। তাই রোহিঙ্গা শিশুদের কাছে লিওনেল মেসিকে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে ইউনিসেফের। এ উপলক্ষে মিয়ানমার-বাংলাদেশকে নিয়ে হতে পারে একটি প্রীতি ম্যাচও। মেসির সাথে আসতে পারেন আরও কয়েকজন ফুটবলার। তবে তা ঢাকায় নাকি কক্সবাজারে হবে তা নিয়েও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
ক’দিন আগেই ইউনিসেফের দূত হিসেবে কক্সবাজার ঘুরে গেছেন বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই লিওনেল মেসির জন্য চাওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
যদিও মেসির সফর নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ ইউনিসেফের কর্মকর্তারা। কঠোর গোপনীয়তার মাঝে সবকিছু চললেও সম্প্রতি যমুনা টিভির কাছে বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন ইউনিসেফের মুখপাত্র অ্যালিস্টার লওসন।
বাংলাদশের মাটিতে শুধু খেলে যাওয়া নয়, বিশ্বকাপ নিয়েও লাল সবুজ দেশটির সাথে পরিচিত এই তারকা। মেসির ফেসবুক পেজে কিছুদিন আগেই শেয়ার কার হয়েছিলো আর্জেন্টিনা নিয়ে এদেশের দর্শকদের উন্মাদনার কথা।
আগামী ২২ জুলাই বাংলাদেশ সফরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে মেসির।