বিনোদন ডেস্ক:
বেশ কয়েক দিন ধরেই পূবাইল এবং উত্তরার বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং হচ্ছিল আন্তর্জাতিক অ্যাপে প্রচারের জন্য ‘ফোন এক্স’ নামে একটি ওয়েব সিরিজ।
সেখানে কলকাতার কয়েকজন শিল্পীর শুটিং করার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে কাজের অনুমতি না নেয়ায় তাদের শুটিং করতে দেয়নি ডিরেক্টর গিল্ড। ফলে তাদের জায়গায় দেশের অন্য শিল্পীদের নিয়ে শুটিং করেন ‘ফোন-এক্স’ এর পরিচালক অনন্য মামুন। কিন্তু গণমাধ্যমে খবর ছড়ানো হয় ওয়েব সিরিজটির শুটিং বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অনন্য মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কই না তো আমার শুটিং তো বন্ধ করা হয়নি। শুটিং তো দিব্যি চলছে। ’
শুটিং তো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তাহলে এ খবর মিথ্যা? উনি বলেন, আমার শুটিং বন্ধ হয়নি।
পরে অনন্য মামুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানান, ‘আইন মেনে কাজ নাকি শিরোনামে থাকা’ তথ্যগুলো না দিয়ে পারলাম না। এটা বড় বাজেটের ওয়েব সিরিজ করছি, যা তিনটা ভাষায় মুক্তি পাবে একটা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপে। পরিচালক থেকে শুরু করে ক্যামেরাম্যান সবাই বাংলাদেশের। ভারতে দুজন শিল্পী সকালে সেটে এল একদিনের একটা প্যাচওর্য়াক ছিল। পেমেন্টের কোনো ব্যাপার নেই। তাই ভ্রমণ ভিসায় এসেছে। সকালে একই লোকেশনে একটা সংগঠনের মাননীয় নেতা ছিলেন তিনি বললেন, ওদের ওয়ার্ক পারমিট না থাকলে কাজ কর না। আমি কাজ করলাম না। ওরা চলে গেল। আমরা বাংলাদেশিদের দিয়ে বাকি কাজ করালাম।
অনন্য মামুন আরও লেখেন, পরে ঘটনা একটা গল্প। একের পর এক ফোন। কেউ একজন সব সাংবাদিকদের ফোন করে ব্যাপারটা জানানো হলো শুটিং বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, যা মিথ্যা। আমার কথা হলো উনি কি আমাকে আইন মেনে কাজ করতে বললেন নাকি নিজে শিরোনাম হলেন? কথা বললেই দোষ হবে। কিন্তু আজ না বলে পারছি না। নিউজটা আমাদের কি উপকারে এল, আমি জানি না। কিন্তু ক্ষতি কি হলো সেটা জানি। কোনো বড় ভারতের শিল্পীর সঙ্গে কাজ করছি। সেটা দেখলেই বড় নিউজ। কিন্তু সেই সংগীত পরিচালকের কি ভারতের ওয়ার্ক পারমিট আছে? কলকাতা এয়ারপোর্টে এখন কোনো বাংলাদেশি মিডিয়ার লোককে টুরিস্ট ভিসা দেখলে অনেক প্রশ্ন করেন। আগে করত না এখন কেন করেন যারা এটার সম্মুখীন হয়েছেন তারা জানেন। আমার প্রশ্ন আমরা কি আইন মেনে কাজ করার পক্ষে, নাকি নিউজের শিরোনাম হতে চাই। যদি আইন মেনে কাজ করতে চাই তাহলে সামান্য বিষয়কে কেন নিউজ বানিয়ে নিজেদের জায়গাগুলোকে নষ্ট করি।