২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:১৫
অতিরিক্ত সময়ের গোলে ব্রাজিলের কাঙ্ক্ষিত জয়

অতিরিক্ত সময়ের গোলে ব্রাজিলের কাঙ্ক্ষিত জয়

অবশেষে দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গোল পেলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। যদিও এর আগে গোল করে দলকে জয়ের পথ দেখান আগের ম্যাচের স্কোরার ফিলিপ কুতিনহো।
যদিও পুরো ৯০ মিনিট ধরে কোস্টারিকার বিপক্ষে গোল করতে ব্যর্থ হয় ব্রাজিল। সবাই যখন ধরে নিয়েছিলেন ড্রতেই গড়াবে ম্যাচটি। তখনই মূল রোমাঞ্চ শুরু। আর এর পথ দেখান কুতিনহো শেষ করেন নেইমার। আর এ জয়ে নক আউট পর্ব অনেকটা নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল।
pran শুক্রবার রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে সন্ধ্যা ৬টায় হেক্সা মিশনের লক্ষ্যে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কোস্টারিকার মুখোমুখি হয় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।
প্রথমার্ধ থেকেই দাপট দেখিয়ে খেলেছে টুর্নামেন্টের হট ফেবারিট ব্রাজিল। কেবল গোলটাই পাচ্ছিল না। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে কুতিনহোর দূরপাল্লার শট বক্সের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়।
ম্যাচের ১৩তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় কোস্টারিকা। ডান দিক থেকে দারুন পাস দিয়েছিলেন বোর্গেস কিন্তু বক্সের ভেতর থেকে বল পোস্টের বাহিরে মারেন গাম্বোয়া।
২৬ মিনিটে ব্রাজিল গোল পেয়ে যায়। মার্সেলোর নিচু পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বল জালে জড়ান জেসুস। কিন্তু অফসাইডের কারণে তা বাতিল করে দেন রেফারি। বাকি সময় আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলতে থাকলে উভয় দলই গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায়।
২৯ মিনিটে কুতিনহো আরেকটি শট নেন একই জায়গা থেকে, সেটাও পোস্টের একটু উপর দিয়ে চলে যায়।
৩২ মিনিটে আরও একবার বল নিয়ে বক্সে ঢুকে যান নেইমার, পাস দিয়েছিলেন হেসুসকে। তিনি সেটায় মাথা ছুঁয়াতে পারেননি, প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার ব্রায়ান অভিয়েদো বল ক্লিয়ার করেন। অফসাইডও ডাকেন রেফারি।

৪০ মিনিটে একাই বল নিয়ে বক্সের বাইরে বাঁ দিক থেকে শট নিয়েছিলেন মার্সেলো, নাভাসের সেটা ধরতে কষ্ট হয়নি। ৪৩ মিনিটে ব্রাজিলের আরেকটি সংঘবদ্ধ আক্রমণ রুখে দেয় কোস্টারিকা। ফলে গোলশুন্য সমতা নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করে দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে ৪৮ মিনিটে নিশ্চিত একটি গোলের সুযোগ নষ্ট করে ব্রাজিল। পাওলিনহোর ক্রসে আরেকটি সংঘবদ্ধ আক্রমণে গোলমুখে জটলা পাকিয়েও সাফল্য পায়নি সেলেসাওরা। ৪৯ মিনিটে একইরকম আক্রমণে আরও একবার হতাশ হতে হয় তাদের। ফ্যাগনারের ক্রস থেকে বল পেয়ে জেসুসের শট গোলবারে লেগে ফেরত আসে।
৫৬ মিনিটে পাওলিনহোর ক্রস থেকে বক্সের মধ্যে নেইমারের শট আঙুলের ডগা দিয়ে ফিরিয়ে দেন নাভাস। পরের মিনিটে পাওলিনহোর কাছ থেকেই বল পেয়েই সরাসরি রিয়াল গোলরক্ষকের হাতে মেরে দেন কৌতিনহো।
৭০ মিনিটে নেইমারের কর্ণার থেকে কাসিমিরো দারুণ একটি হেড নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা দক্ষতার সঙ্গে ধরে ফেলেন নাভাস। মিনিট দুয়েক পর কোস্টারিকা ডিফেন্ডারের ভুলে বল পেয়ে গিয়েছিলেন নেইমার। তবে পিএসজি তারকা বলটা আরও একটু ভেতরে না নিয়ে বক্সের বাইরে থেকেই শট মেরে দেন, যদিও সেটা একটুর জন্য জাল পায়নি।

৭৭ মিনিটে বলতে গেলে একাই মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে কোস্টারিকার বক্সে ঢুকে পড়েন নেইমার। কিন্তু ফাঁকা পেয়েও শটটা নিতে পারেননি। ৭৯ মিনিটে গঞ্জালেজের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে নেইমার বক্সের ভেতরে পড়ে গেলে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। কোস্টারিকার খেলোয়াড়দের আবেদনে সিদ্ধান্ত যায় ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তির কাছে। ভিডিও দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বাতিল করেন রেফারি। ফাউল ছিল না বলে নেইমারকে দেখান হলুদ কার্ড। এ সময় এর প্রতিবাদ জানানোয় কুতিনহোকেও কার্ড দেখান রেফারি।
গোল পেতে এরপর আক্রমণ চালিয়েই গেছে ব্রাজিল। ৮৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে কৌতিনহোর শট ধরে ফেলেন নাভাস। একই মিনিটে কাসিমিরো, জেসুস আর নেইমারের সমন্বিত আরেকটি আক্রমণ ডিফেন্সে আটকে গেলে গড়িয়ে যাওয়া বল শুয়ে ধরে ফেলেন কোস্টারিকা গোলরক্ষক।
নির্ধারিত সময়ে গোলশুন্য ডঅতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে এসে অবশেষে হতাশা কাটে ব্রাজিলের। ফার্নান্দোর ক্রস পেয়ে বক্সের মধ্যে ফিরমিনোর মাথা হয়ে জেসুসের পায়ে বল যায়। সেখান থেকে তিনি সেটা দেন দৌঁড়ে আসা কুতিনহোকে। বার্সেলোনা মিডফিল্ডার সেটা জালে জড়াতে একটুও ভুল করেননি (১-০)।
চতুর্থ মিনিটে ফিরমিনো আর কুতিনহোর ওয়ান টু ওয়ান পাসে আরেকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল। তবে সেটা কাজে লাগাতে পারেননি। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে এসে দুর্দান্ত আরেকটি গোল করে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বক্সের ডানপাশ থেকে কস্তার পাস থেকে গোল করেন নেইমার (২-০)

প্রকাশ :জুন ২৩, ২০১৮ ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ