কয়েকদিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের কুশিয়ারা ডাইকের উমরপুর ও কসবা গ্রামের বাঁধ ভেঙে নদীর তীরবর্তী ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এতে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বাজার ও রাস্তা ঘাট। বিপাকে পড়েছেন মানুষ। গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে রয়েছেন তারা। তাছাড়া শতশত পুকুর ও মৎস্য খামার বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে বেরিয়ে গেছে লাখ লাখ টাকার মাছ। রাস্তা-ঘাট ও বিদ্যালয় তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষা কার্যক্রম। তাছাড়া দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।
pran প্লাবিত এলাকার মধ্যে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের দিগীরপাড়, ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি ও দীঘলবাক ইউনিয়নের দীঘলবাক, জামারগাঁও, রাধাপুরসহ আরু কয়েকটি গ্রাম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাওহিদ বিন হাসান জানান, বন্যার পানিতে লোকজন পানিবন্দি হওয়ার খবর পাওয়ার সাথে সাথে দীঘলবাক উচ্চ বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করে পানিবন্দি পরিবার গুলোকে স্কুলে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে শূকনা খাবার দেয়া হয়েছে।
এদিকে, উজানে বৃষ্টি না হওয়ায় মৌলভীবাজার পৌরসভা, সদর উপজেলা ও রাজনগরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
মনু নদীর পানি মৌলভীবাজার শহরের কাছে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পৌর এলাকা, সদর উপজেলা ও জনগরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ওইসব এলাকার বাড়ি-ঘর ও রাস্তা-ঘাট পানির নিচে রয়েছে। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিপুর ইউনিয়নের হামরকোনা এলাকায় কুশিয়ারা নদীর ভাঙন দিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করে তিনটি গ্রাম তলিয়ে রয়েছে। এদিকে নতুন করে আজ সকালে রাজনগর উপজেলার কালার বাজার এলাকায় বেড়ি বাঁধ বর্তমান এলজিইডির পাকা সড়ক ভেঙে কাউয়াদিঘি হাওরে পানি প্রবেশ করছে। এতে কাউয়াদিঘি হাওরের নিন্মাঞ্চলের গ্রামগুলোতে বড় রকমের বন্যা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভেঙে যাওয়া এ বাঁধ রক্ষায় কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড, সেনাবাহিনী ও গ্রামের মানুষ।