২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৮:২১

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড: রাস্তার পাশে ময়লার স্তুপ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করতে হচ্ছে এবড়োখেবড়ো রাস্তা দিয়ে। নারায়ণগঞ্জ বাসীর অধিক ব্যবহৃত ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের চিত্র এটি। এছাড়া এ রাস্তার জালকুড়ি এলাকায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে দুর্গন্ধে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে এ সড়ক দিয়ে চলাচলরত যাত্রীদের। যদিও কয়েকদিন আগে থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সদর ইউএনও অভিযান চালিয়ে ওই স্থানে ময়লা ফেলতে নিষিদ্ধ করেছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ স্থানে ময়লা ফেলানোর দায়ে একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। রাস্তা এবড়োখেবড়োর ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে নারায়ণগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিউল হোসেন জানান, আমরা রাস্তা মেরামতের কাজ করছি। বৃষ্টির কারণে মাঝে-মধ্যে ধীরগতিতে কাজ করতে হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে এতদিনে মেরামত কাজ শেষ হয়ে যেত।

বৃষ্টির পর থেকে নারায়ণগঞ্জবাসীকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কে চলাচলে পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। এ রাস্তার অনেক স্থানে রয়েছে ভাঙা, এবড়োখেবড়ো। বিশেষ করে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জগামী অংশটি ভাঙা বা এড়ড়োখেবড়ো হওয়ার কারণে যানবাহনগুলোকে এ রাস্তা দিয়ে চলতে হচ্ছে হেলেদুলে। এতে যাত্রীদের শরীর ঝাঁকুনিসহ ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে। তাছাড়া পরিবহনগুলো চলতে গিয়ে এক পরিবহনের সঙ্গে অন্য পরিবহনের ছোট ছোট দুর্ঘটনাও ঘটছে।

এ সড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িতে রাস্তার পাশে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এ ময়লা-আবর্জনার পরিমাণ বাড়তে বাড়তে এক সময় বিশাল স্তূপে পরিণত হয়েছিল। এতে করে দূষিত হয় পরিবেশ। পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এ এলাকার জনসাধরণ। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গত সভায় এ স্থানে ময়লা ফেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সে সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৬ মে ওই এলাকায় ময়লা ফেলা সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য শাহীন মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন সদর ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সদর উপজেলা ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হোসনে আরা বেগম বীনা জানান, চলতি মাসের জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় জালকুড়ির ময়লা অপসারণের বিষয়ে জেলা প্রশাসক আমাকে ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেন। পরে আমরা সম্মিলিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে একটি এক্সেভেটর (ভেকু) ভাড়া করি।

পাশাপাশি নাসিকের পক্ষ থেকেও একটি এক্সেভেটর সরবরাহ করা হয়েছে। দুটি এক্সেভেটরের মাধ্যমে আমরা জালকুড়ির ময়লার স্তূপ অপসারণের কাজ করছি। ইউএনও আরও বলেন, যেসব গার্মেন্টস বা ফ্যাক্টরি রাতের আঁধারে এসে এখানে ময়লা ফেলছেন তাদের অনুরোধ করছি এখানে ময়লা না ফেলতে। যদি কেউ ময়লা ফেলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :মে ৩০, ২০১৮ ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ