মারুফ শরীফ,নিজস্ব প্রতিবেদক:
নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থার প্রশ্নে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বিএনপি। মঙ্গলবার বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাত করে এ বার্তা দিয়েছে।
সাক্ষাত শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন, কমিশন একটাই। আস্থা রাখলেও আসতে হয়, না রাখলেও আসতে হয়। তবে আমরা আরেকটি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। তারপর আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নেব।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আমরা কমিশনকে বলেছি রাজনৈতিক দলসহ সকলকে আস্থায় রাখা হচ্ছে আপনাদের দায়িত্ব। দেশের মানুষ যদি আপনাদের ওপর আস্থা না রাখেন, রাজনৈতিক দল যদি আস্থা হারায় তাহলে আপনারা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, আমরা খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যেসব অনিয়ম হয়েছে তা লিখিত আকারে তুলে ধরেছি। বলেছি, এসব অনিয়ম মাথায় রেখে গাজীপুর সিটি নির্বাচন করতে যাতে নির্বাচনটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়।
সিটি নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যে নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হবে না সে নির্বাচনেও ভোটাররা যদি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয় তাহলে যে নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হবে সে নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিশনের সঙ্গে আমাদের আলোচনা সুন্দর হয়েছে। তবে অতীতের অভিজ্ঞতা সুখকর নয় ইঙ্গিত করে নির্বাচন কমিশনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অতীতের মতো নির্বাচনের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করে হয়তো এবারও আক্ষেপ করতে হবে। আমরা সবসময় নির্বাচন কমিশনকে যা বলে যাই তা হয় না। বলি, পরে আক্ষেপ করি। বিএনপির প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপিদের প্রচারণার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিনিধি দলে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা কমিশনকে বলেছি সংসদ সদস্যরা অত্যন্ত প্রভাবশালী। তারা প্রচারণার সুযোগ পেলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে না। কমিশন আমাদের বলেছেন, আপনারা ক্ষমতায় গেলে এ সুযোগ তো আপনারাও পাবেন। কিন্তু, জবাবে আমরা বলেছি, আমরা এই সুযোগ চাই না। আমরা সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই।
দৈনিক দেশজনতা/ এন আর