নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে টিকেট ভাড়া দ্বিগুণেরও বেশি রাখছে এয়ারলাইন্সগুলো। ঈদের ছুটির এখনো সপ্তাহ দুয়েক বাকি থাকলেও ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে এয়ারলাইন্সগুলোর সব টিকিট।
এদিকে শিডিউল ফ্লাইটের টিকেট শেষ হওয়ার পরেও যাত্রী চাহিদা থাকায় এয়ারলাইন্সগুলো অভ্যন্তরীণ রুটে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করবে বলে জানা গেছে।
অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা দেশের চারটি এয়ারলাইন্স হল, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজ।বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ৭টি রুটে এয়ারলাইন্সগুলো ফ্লাইট পরিচালনা করে। সৈয়দপুর, রাজশাহী, যশোর, বরিশাল, সিলেট, চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার।
ভাড়ার ব্যাপারে এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে সৈয়দপুর রুটে যাত্রীদের ভাড়া (একপথে) গুণতে হচ্ছে ৭ হাজার ৫০০ থেকে ৮ হাজার ৫০০ টাকা। অন্য সময়ে একই টিকেট বিক্রি হতো সর্বোচ্চ ৩ হাজার ২০০ টাকায়।
একইভাবে ঢাকা থেকে যশোর রুটের ২ হাজার ৫০০ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৭ হাজার ৫০০ টাকায় এবং ঢাকা থেকে বরিশালে ৩ হাজার টাকার ওয়ানওয়ে টিকেটের দাম রাখা হচ্ছে ৬ হাজার ৫০০ থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকা।
রাজশাহী রুটেও টিকেট বিক্রি হচ্ছে ৭ হাজার ৫০০ টাকায়। অথচ টিকেটের দাম স্বাভাবিক সময়ে ৩ হাজার টাকা।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ কামরুল ইসলাম বলেন, ঈদে অভ্যন্তরীণ সাতটি রুটে প্রায় শতভাগ টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। যেহেতু যাত্রীর চাহিদা এখনো আছে, তাই অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনার করবো।
ভাড়া বেশি রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আসলে ভাড়া বেশি রাখা বলে না। যে কোনো আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সেও একইভাবে শেষ সময় বেশি ভাড়া নেওয়া। এটা ঈদ বলে কথা না, অন্য সময় হলেও শেষ মুহুর্তে বেশি দাম থাকে টিকেটের।
তিনি আরও বলেন, ঈদে প্রতিটা অনওয়েতে (একপথে) যাত্রী বেশি থাকে। ফিরতি ফ্লাইটে কিন্তু খুব বেশি থাকে না। তাই অন্য সময়ের থেকে চাহিদা বেশি থাকায় ভাড়া অনওয়েতে বেশি ভাড়া রাখা হয়। তাছাড়া উড়োজাহাজে সিটের ক্যাটাগরি অনুযায়ী ৭-৮টা ভাগ থাকে। যার কারণে নিন্ম মানের সিট প্রথমে বিক্রি হয়ে এবং পর্যায়ক্রমে ভাড়া বাড়তে থাকে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদে টিকেটের চাহিদা অনেক বেশি থাকে। ইতোমধ্যে নিয়মিত শিডিউল ফ্লাইটের অধিকাংশ টিকেট বিক্রিয় হয়ে গেছে।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি সুত্রে জানা যায়, ১২ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত ঢাকা থেকে ৯৫ শতাংশ টিকেট বিক্রি হয়েছে।
নভোএয়ারের হেড অব মার্কেটিং এন্ড সেলস্ মেসবাহ উল হক বলেন, জুনের ১০ তারিখ থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের নিয়মিত ফ্লাইটে প্রায় সব টিকেট বিক্রি গেছে। এই টিকেট মাস দুয়েক আগ থেকেই বিক্রি শুরু হয়।
তিনি বলেন, এয়ারক্রাফটের টিকেট সারা বিশ্বে একই নিয়মে বিক্রি হয়। শেষ মুহুর্তে টিকেটের দাম বেশি থাকে।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ