আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের গাজায় আগেই কাঁটাতারে ঘিরে সীমান্ত বেড়া দিয়েছে ইসরাইল। এবার গাজার সমুদ্র সীমান্তে কাঁটাতার বসাচ্ছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনিদের অনুপ্রবেশ ঠেকানোর অজুহাত তুলে ইসরাইলই বিশ্বে সমুদ্র সীমানা ঘিরছে। গাজার উত্তরে সাগর সীমান্তে জিকিম সৈকতে রোববার থেকে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ শেষ হবে। খবর টাইমস অব ইসরাইল, জেরুজালেম পোস্টের।
সোমবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান বলেন, ‘বিশ্বে এ ধরনের বেষ্টনী এটাই প্রথম। এটি সাগরপথে অনুপ্রবেশ বন্ধে অনুপ্রবেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি হামাসকেও হতাশ করবে। এর মাধ্যমে ইসরাইলবিরোধী যুদ্ধের আরেকটি কৌশলগত সক্ষমতা হারাবে হামাস।’ তিন স্তরবিশিস্ট এ বেড়ার প্রথম অংশ থাকবে সাগরের তলদেশে, দ্বিতীয় অংশে পাথরের বড় বড় চাঁই এবং তৃতীয় ও সর্বশেষ স্তরে জোড়া ধারালো হবে কাঁটাতরের বেড়া। আর এর পুরো অংশই আরেকটি বিদ্যুৎবাহী কাঁটাতারের বেড়া দ্বারা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সুরক্ষিত থাকবে।
২০০৭ সালে হামাসের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর থেকে উপকূলীয় গাজা উপত্যকাকে অবরোধের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে আসছে ইসরাইল। নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে গাজার জেলেদের মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা আছে। ছয় নটিক্যাল মাইল বা ১১ কিলোমিটারের বেশি গেলে গাজার জেলেদের নৌকা লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে ইসরাইলিরা। এবার তারা সাগরপথে কাঁটাতারের বেষ্টনী তৈরি করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অনুপ্রবেশের দোহাই দিয়ে গাজাবাসীর প্রথম জীবিকা মাছ ধরায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতেই এই বিতর্কিত প্রকল্প হাতে নিয়েছে ইসরাইল। এ বেড়ার প্রভাবে ওই অঞ্চলে মৎস্য ঘাটতি দেখা দেবে, যা সরাসরি গাজার দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ওপর গিয়ে পড়েবে। ২০১৪ সালে গাজা যুদ্ধের সময় হামাস যোদ্ধারা সাগরপথে সফলভাবে ইসরাইলে প্রবেশ করেছে জানার পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ওই কাঁটাতারের বেড়া তৈরির নির্দেশ দেয়। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে ইসরাইল ফিলিস্তিনসহ অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের একটা বড় অংশ দখল করে নেয়।
পরে আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী ইসরাইলের সীমানা নির্ধারণ করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি