নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাঙ্গামাটির লংগদুতে যুবলীগ নেতার মৃত্যুর জেরে পাহাড়িদের বাড়িঘরে হামলা ও আগুনের ঘটনায় ওই এলাকায় এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এলাকায় ১৪৪ ধারা অব্যাহত রয়েছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত ৩০০ জনের নামে মামলা ও ৭ জনকে গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার সাঈদ তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, দোষীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের চারমাইলে (কৃষি গবেষণা এলাকা সংলগ্ন) নুরুল ইসলাম নয়ন নামে এক যুবলীগ নেতার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন শুক্রবার তার লাশ নিয়ে এক মিছিল থেকে উত্তেজিত বাঙালিরা পাহাড়িদের বাড়িঘরে হামলা করে ভাঙচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
লংগদু সদরের তিনটিলা, মানিজোর ছোড়া ও বাইত্যাপাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ ১৪৪ ধারা জারি রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। এদিকে আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়া পাহাড়িরা এখনো তাদের নিজ নিজ এলাকায় ফিরে আসেনি বলে জানা গেছে। অপরদিকে গ্রেফতার অভিযান আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছে বাঙালিরাও। এতে পরিস্থিতি এখনো থমথমে রয়েছে।
শনিবার সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারও তার সঙ্গে ছিলেন। জেলা প্রশাসক বলেন, এ ধরনের ঘটনা কাম্য ছিল না। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেকোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রাখা হবে। এজন্য সবাইকে সচেতন ও ধৈর্য সহকারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। লংগদু থানার ওসি মমিনুল হক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি লংগদুর বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীও টহলে রয়েছে।
এ ঘটনায় দোষীদের বিচারের আওতায় আনা এবং ঘরছাড়াদের পুনর্বাসন করার জন্য বিবৃতি দিয়েছে জেএসএস ও ইউপিডিএস’সহ সাত আঞ্চলিক সংগঠন।
দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ