নিজস্ব প্রতিবেদক:
ক্ষমতাসীনদের ঘরেই মাদক সম্রাটরা আশ্রয়ে আছে বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘মাদকবিরোধী যুদ্ধ শুরু হয়েছে। সেই যুদ্ধে গত ৭/৮ দিনে ৫০ জনের মতো লোককে হত্যা করা হয়েছে। আগের নিজের ঘরটা সামলান না কেন? আপনার ঘরেই তো বসে আছে সব মাদক সম্রাট যারা মাদক ব্যবসা করেন, যারা নিয়ে আসছে।
আমি নাম বলতে চাই না, সবাই জানি যে স্বয়ং একজন সংসদ সদস্য তিনি মাদকের সম্রাট হিসেবে পরিচিত। প্রত্যেকটা পত্রিকায় বড় বড় করে হেডিং আসছে। সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কিছু হয় নাই। উল্টো বলছেন যে, সে মাদক ব্যবসা করে তা প্রমাণিত হয় নাই।’ ‘আমরা মাদকের বিরুদ্ধে। আমরা চাই যে, মাদক নির্মূল হোক। কিন্তু এই নির্মূল যদি শুধুমাত্র অস্ত্র দিয়ে সম্ভব হতো তাহলে অনেকে দেশে হয়ে যেত।
এই মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যার মধ্য দিয়ে জনগণই প্রতিরোধ গড়ে তুলবে, মাদক সরবারহকারীদের প্রতিহত করবে।’ সরকার ‘একতরফা’ নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই যে সরকার জগদ্দল পাথরে মতো জাতির ওপর বসে আছে, তাকে সরাতে হলে আজকে একটা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করা প্রয়োজন। সেই ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে শুধুমাত্র ২০ দল মধ্যে নয়, অন্যান্য সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকে একটি স্বার্থে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্যে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
‘সেই নির্বাচন করতে হলে অবশ্যই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে এবং একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। একই সঙ্গে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। জনগণ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে সেজন্য ভোটের সময়ে সেনা বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। দেশনেত্রী সেই জাতীয় ঐক্যের কথাই বলেছেন।’ এনপিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ইফতার মাহফিলে স্বাগত বক্তব্য দেন।
২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, আহসান হাবিব লিংকন, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এমএম আমিনুর রহমান, জামায়াতে ইসলামীর মিয়া গোলাম পারোয়ার, আবদুল হালিম, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুর রকীব, খেলাফত মজলিশের মাওলানা মজিবুর রহমান, বিজেপির আবদুল মতিন সাউদ, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার আসাদুর রহমান খান, লেবার পার্টির দুই অংশের মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, মাহমুদ খান, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, মো. কামাল ভুঁইয়া, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, এনডিপির মনজুর হোসেন ঈসা, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, সৈয়দ মাহবুব হোসেন, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডিএলের মিজানুর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব ইফতার করেন।
ইফতারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, নিতাই রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা তৈমুর আলম খন্দকার, সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমি, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শামা ওবায়েদ, খালেদা ইয়াসমীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য আহম জহির হোসেন হাকিম, এম অহিদুর রহমান, মো. নজরুল ইসলাম, বেলাল আহমেদ, মাওলানা হারুন অর রশীদ, সালমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ফরিদউদ্দিন আহম্মেদসহ নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি