নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঝালকাঠির রাজাপুরে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই তীব্র নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বিষখালী এবং গাবখান নদীর ভাঙ্গনে ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে অসংখ্য বাড়িঘর ও ফসলি জমি।
ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও মাদরাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। অন্যদিকে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাতের কারণে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে মরিচ, মুগ, ছোলা বুটসহ বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এসব ভাঙ্গন এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা বলেন, রাজাপুরে বর্ষা আসার আগেই বিষখালীসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। সেই সাথে নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এছাড়াও ওই উপজেলার বিষখালী নদী ভাঙ্গনের ফলে বাদুরতলা লঞ্চঘাট, স্কুল, মসজিদ, বাদুরতলা বাজার ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অসংখ্য বসতবাড়ি ও ফসলি জমি ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে।
এ বিষয়ে মঠবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সিকদার বলেন, উপজেলার নাপ্তার হাট থেকে চল্লিশ কাহনিয়া পর্যন্ত প্রায় ৪-৫ কিলোমিটার জায়গায় ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে। নদী ভাঙ্গনের ফলে আগে যে সুন্দর গ্রাম ছিল এখন আর নেই। শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে আমাদের সংসদ সদস্য বিষখালী নদী ভাঙ্গন নিয়ে জাতীয় সংসদে একাধিক বার উত্থাপন করেছেন এবং বরিশাল থেকে তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। তিনি একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ নাপ্তার হাট ও বাদুরতলা স্কুলের কাছে ব্লক নির্মাণ করার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা বেগম পারুল বলেন, নদী ভাঙ্গনের কথা আমাদের ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক স্যারের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। তারা হয়ত খুব শীঘ্রই এর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ