স্পোর্টস ডেস্ক:
আগামী ২৬ মে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে লিভারপুল। সেই ম্যাচে লিভারপুলের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন অনেকটাই নির্ভর করছে ক্লাবটির মিশরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহর ওপর। সেই ম্যাচে তার দুর্দান্ত পারফরমেন্সের সঙ্গে সুস্থ্যতাও কামনা করছেন বিশ্বের লাখ লাখ ভক্ত-সমর্থক।তাদের চিন্তার কারণ একটাই। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মুসলমানদের পবিত্র সিয়াম সাধনার মাস রমজানের মধ্যেই। সালাহ কি সেদিন রোজা রেখে খেলবেন? রোজা রাখলে তার পারফরমেন্সের ওপর কোন প্রভাব পড়বে কি না?
এতসব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটালেন সালাহ নিজেই। জানালেন, ফাইনালে রোজা রেখেই খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি। তবে রোজা রাখায় তার শারীরিক সামর্থ্য সংশয়ে পড়তে পারে ভক্ত-সমর্থকদের এমন দুশ্চিন্তার জবাবে তিনি জানিয়ে দিলেন, রোববারের ফাইনালে রোজা রেখে খেলায় তার পারফরম্যান্সে কোন অসুবিধা হবে না। এই নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।ইংলিশ ক্লাব ফুটবলে বহু মুসলিম খেলোয়াড় রয়েছেন। এক লিভারপুলেই আছেন সেনেগালের সাদিও মানে। আর্সেনালে আছেন জার্মান তারকা মেসুত ওজিল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আছেন পল পগবা। এই মুসলিম ফুটবলারদের ধর্মভীরুতা সম্পর্কে সবাই ওয়াকিবহাল। তবে সালাহর সিদ্ধান্তের সমালোচনাও হচ্ছে যথেষ্টই। পুষ্টিবিদ জেসুস মুনোজ দাবি করেছেন, যদিও তারা মনের দিক থেকে (রোজাদার ফুটবলার) পরিচ্ছন্ন বোধ করে, তবে শারীরিক শ্রমের ক্ষেত্রে তারা পিছিয়ে পড়ে। যদি সে (সালাহ) পুরোপুরি রোজা রাখে, তাহলে খেলায় তার প্রভাব পড়বেই।’
দৈনিক দেশজনতা/এন আর