স্পোর্টস ডেস্ক:
যেন বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই এলো ঘোষণাটা। হুট করেই এক ভিডিও বার্তায় এবি ডি ভিলিয়ার্স জানালেন, দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সি গায়ে আর দেখা যাবে না তাকে। ৩৪ বছর বয়সে অবসর নিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। ফলে, প্রোটিয়া তারকা ১৪ বছরের ক্যারিয়ারকে বিদায় জানিয়ে দিলেন।
এক ভিডিও বার্তায় ডি ভিলিয়ার্স জানান, ‘১১৪ টেস্ট, ২২৮ ওয়ানডে ও ৭৮ টি-টোয়েন্টির পর আমার মনে হয়েছে, সময় হয়েছে অন্য কারও আমার জায়গা নেওয়ার। সত্যি বলতে কী, আমি ভীষণ ক্লান্ত অনুভব করছি। সিদ্ধান্তটা নেওয়া খুবই কঠিন ছিল। আমি অনেক দিন থেকেই এটা নিয়ে ভাবছি। আমি চেয়েছিলাম, ভালো খেলতে খেলতেই যেন বিদায় বলতে পারি। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে দারুণ সিরিজের পর আমার মনে হয়েছে, এটাই বিদায় নেওয়ার সেরা সময়।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘কোন ফরম্যাটে দেশের হয়ে খেলব, সেটা ঠিক করা আমার উচিত বলে মনে হয় না। আমার কাছে ব্যাপারটা হলো সবকিছু খেলব, নইলে কোনোটাই নয়। আমি কোচ ও স্টাফদের কাছে কৃতজ্ঞ এতগুলো বছর আমাকে সাহায্য করার জন্য। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, আমার সতীর্থরাও আমার পাশে ছিল। তাদের সমর্থন না পেলে আমি আজকের এই অবস্থানের অর্ধেকও আসতে পারতাম না।’
‘আমার কাছে মনে হয়েছে এটাই চলে যাওয়ার সেরা মুহূর্ত। সবাকেই বিদায় নিতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা সমর্থকদেরও ধন্যবাদ সবকিছুর জন্য।’ যোগ করেন ভিলিয়ার্স।
ডি ভিলিয়ার্স আভাস দিয়েছেন, আইপিএলেও আর নাও খেলতে পারেন, ‘বাইরে খেলার আমার কোনো পরিকল্পনা নেই সেভাবে। আমি শুধু ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে যাব। আমি ডু প্লেসি ও প্রোটিয়াদের সবচেয়ে বড় সমর্থক হয়েই থাকব।’
ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম বলে ৫০, ১০০, ও ১৫০ রানের রেকর্ড ডি ভিলিয়ার্সের। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্টে তার চেয়ে বেশি রান আছে তিন জনের, ওয়ানডেতে শুধু একজনের। তবে সংখ্যা দিয়ে তো আর তাকে মাপা যাবে না। ডি ভিলিয়ার্স স্মরণীয় হয়ে থাকবেন মাঠে তার সব উদ্ভাবনী শট ও অফুরান আনন্দের জন্য।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর