আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আমাদের কাছে অপরাধের বিপুল সাক্ষ্যপ্রমাণ আছে। কাজেই আর দেরি না করে ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির মুখোমুখ করতে হবে। এভাবেই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-আইসিসিকে ইসরাইলের বিচার বাস্তবায়নের আহ্বান জানালেন ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকি।মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি ফাতু বেনসৌদার সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী এক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান। খবর এএফপির।
এ বৈঠকে ফিলিস্তিনের চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন রিয়াদ আল মালিকি। তিনি ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর যুদ্ধাপরাধ ও বর্ণবাদী আচরণের সব অভিযোগের দ্রুত তদন্ত করতে আইসিসির কাছে দাবি জানান। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মালিকি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। তারা কয়েক প্রজন্ম ধরে ইসরাইলি কর্মকর্তাদের দায়মুক্তিতে সম্পাদিত অপরাধের শিকারে পরিণত হয়েছেন।
২০১৫ সালে আইসিসি গাজা যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি এবং ইসরাইলি ভূখণ্ডে মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত করেছে।এমনকি এসব অঞ্চল পরিদর্শন সত্ত্বেও ট্রাইব্যুনাল-পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে এগোয়নি। এর পর তারা একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্তে নেমেছে। যেখানে বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত করা হবে। মালিকি বলেন, আমাদের কাছে অপরাধের বিপুল সাক্ষ্যপ্রমাণ আছে। কাজেই যারা দায়ী, আর দেরি না করে তাদের শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।
গত ১৪ মে ইসরাইলি সেনারা গাজা উপত্যকায় নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়ে ৬০ জনকে হত্যা করেছে। ৩০ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ওই বিক্ষোভে ১১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরাইল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্যভুক্ত কোনো দেশ নয়। তারপরেও ফিলিস্তিনের অভিযোগের পর অনেকটা ভড়কে গেছে ইহুদিবাদী অবৈধ রাষ্ট্রটি।
মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ফিলিস্তিনের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এটা এক ধরনের হতাশাজনক পদক্ষেপ। এসব অভিযোগের কোনো আইনগত বৈধতা নেই।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি