২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৭:৫৫

কেসিসিতে বাতিল হওয়া ৩টি ভোটকেন্দ্রের তদন্ত শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে অনিয়ম এবং তিনটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশনের তদন্ত  টিম। মঙ্গলবার সকাল থেকে তিন কেন্দ্রের ভোটগ্রহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দফায় দফায় কথা বলেন তিন সদস্যের কমিটি। নগরীর বয়রাস্থ রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসারের সভাকক্ষে এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
গত ১৫ মে কেসিসি নির্বাচনে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি কেন্দ্রে কি ঘটনা ঘটেছিল তা জানতে চাওয়া হয় বলে তদন্ত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বের হয়ে সাংবাদিকদের জানান বিভিন্ন প্রার্থীর পোলিং এজেন্টরা। বুধবারও তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার কথা রয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব খন্দকার মিজানুর রহমান জানান, তদন্ত শেষে তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য উপ-সচিব মো. ফরহাদ হোসেন এবং সিনিয়র সহকারী সচিব মো. শাহ আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বলেন, বন্ধ হওয়া তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৩০ মে। এজন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী ইতিমধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে পুনঃনির্বাচনের বিষয়টি জনসাধারণকে জানানো হয়েছে। পুনঃ ভোটগ্রহণের জন্য ওই তিনটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এমনকি প্রার্থীদের এজেন্ট পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ নতুন সেটআপ দিয়ে পুনঃ ভোটগ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ১৫ মে অনুষ্ঠিত কেসিসি নির্বাচন চলাকালে কেসিসির সাধারণ ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইকবাল নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় (একাডেমিক ভবন-২) এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের লবণচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় কেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এ তিনটি কেন্দ্র দুটি সংরক্ষিত ও দুটি সাধারণ ওয়ার্ডের আওতায় হলেও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ভোটের ব্যবধান বেশি থাকায় বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রার্থী মো. শমশের আলী মিন্টুকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সাধারণ ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন মুক্তার ছেলে মো. আরিফ হোসেন ও টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বর্তমান কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল এগিয়ে রয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মাজেদা খাতুন (আনারস) ও রুমা খাতুন (চশমা) এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডে লুৎফুন নেছা (চশমা) ও মিসেস রোকেয়া ফারুক (হেলিকপ্টার) এগিয়ে রয়েছেন।
৩০ মের নির্বাচনে মূলত সংরক্ষিত দুটি ওয়ার্ডের চারজন এবং সাধারণ একটি ওয়ার্ডের দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পাবেন বলেও রিটার্নিং অফিসার জানান।

দৈনিক দেশজন /এন আর

 

প্রকাশ :মে ২২, ২০১৮ ৭:৩৭ অপরাহ্ণ