চট্রগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্রগ্রামের রাউজানে কাপড়ে ব্যবহারযোগ্য বিষাক্ত রং দিয়ে তৈরি ষাট হাজার পিস আইসক্রিম ও বিষাক্ত কেমিক্যালে পাকানো চল্লিশ মণ আম ধ্বংস করলেন ভ্রাম্যমান আদালত।
সোমবার রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম হোসেন রেজার নেতৃত্বে উপজেলার আমিরহাটে একটি আইসক্রিম তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে উৎপাদিত আইসক্রিমের গায়ে ছিল না উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ। ছিল না ব্যবহৃত উপাদানের নাম এবং বিএসটিআইয়ের অনুমোদন।
একইদিন ফকিরহাট বাজারে অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত দামে গরুর মাংস বিক্রি, মুদির দোকানে পণ্যের তালিকা না থাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখা এবং ফলের দোকানে পঁচা, ফরমালিনযুক্ত ফল ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পাকানো আম বিক্রির দায়ে দশজন ব্যবসায়ীকে বায়ান্ন হাজার পাঁচশত টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া পাহাড়তলীর চৌহমুনি, রমজান আলী হাট, কদলপুর ও পৌর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভোক্তা অধিকার আইনে ২২ জন ব্যবসায়ীকে এক লাখ উনত্রিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
অভিযানে আমিরহাট, ফকিরহাট, পাহাড়তলী চৌহমুনি, রমজান আলী হাট, কদলপুর ও পৌর এলাকা হতে পর্যায়ক্রমে ৫০ মণের অধিক বিষাক্ত প্রক্রিয়ায় পাকানো আম ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে প্রতিটি বাজারে গরুর মাংস ৪৫০ টাকা দরে বিক্রির নির্দেশ প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামীম হোসেন রেজা বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে রাউজানের প্রতিটি বাজারে নিয়মিত মনিটর করা হচ্ছ্। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক দেশজন /এন আর