আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে গত বুধবারের ভয়াবহ বোমা হামলার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার শতশত মানুষ বিক্ষোভ করেছে। তাদের অভিযোগ, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিধানে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে সরকার। একই সঙ্গে, সরকারের পদত্যাগও দাবি করেন তারা। এসময় বিক্ষোভকারীরা জানান, বুধবারের ভয়াবহ বোমা হামলায় হতাহতদের ছবি এখনো আমাদের চোখে ভাসছে। আমরা অনেককে ছটফট করতে করতে মারা যেতে দেখেছি। বর্বর হামলায় শিশুরাও পর্যন্ত রেহাই পাইনি। তাই আমরা আর এভাবে মৃত্যুর মিছিল দেখতে চাই না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বেঁচে থাকতে চাই। যেখানে ওই ট্রাক হামলা চালানো হয়েছিল সেই জায়গায়ই জড়ো হয় বিক্ষোভকারীরা। এসময় তারা সরকার বিরোধী ও তালেবান বিরোধী শ্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
এসময় বিক্ষোভকারীরা জানান, সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে তাদেরকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। বিক্ষোভ একমুহূর্তে রণক্ষেত্রে পরিণত হলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি করে। বিক্ষোভকারীরা জানান, আফগানিস্তান আজ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মানুষের এখানে আর কোন নিরাপত্তা নেই। সরকার সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এই সরকার তাদের ক্ষমতায় থাকার সব অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ,সরকার তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এই হত্যার দায় সরকার কোনভাবে এড়াতে পারে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ জন্য কাবুল সরকারের ওপর চাপ দেওয়া উচিত। কেননা তারা সরকার চালানোর সব যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন।
পরে পুলিশ বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে। সেদিনের ওই হামলায় কমপক্ষে ৯০ জন লোক নিহত হয়। এটি চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। এদিকে, এখন পর্যন্ত কোন সংগঠন এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে আফগান গোয়েন্দা কর্মকর্তারা একে তালেবান অধিভুক্ত হাক্কানি নেটওয়ার্কের কাজ বলে আশঙ্কা করছে। তারা বলছেন, পাকিস্তানের সহায়তায় এ হামলা চালানো হয়েছিল। এ অভিযোগের তীব্র বিরোধিতা করেছে পাকিস্তান। তারা একে ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবি করেছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ