নিজস্ব প্রতিবেদক:
অবিরাম বৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে হাঁটু পানি জমেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে পানি জমে থাকায় জনসাধারণ সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়ে দায় সারা বক্তব্য দিয়েছেন। সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতরে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ কার্যালয়ের মূল ফটকে প্রবেশ করতে হাঁটু পানি পাড়ি দিতে হচ্ছে। ড্রেনের ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই এখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ এলজিইডি ভবনের আঙ্গিনায় হাঁটু পানি জমেছে। সদর উপজেলা বাংলোর আঙিনাতেও পানি জমেছে। এখানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টিতে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
বিসিক শিল্পনগরীতে প্রভাবশালী গার্মেন্ট ব্যবসায়ী মো: হাতেম ড্রেন বন্ধ করে বালু ভরাট করার ফলে বিসিক ফায়ার স্টেশনে কোমড় পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কার্যাক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ফায়ার স্টেশনের গাড়িগুলো সেখান থেকে সরিয়ে এনে অন্য স্থানে রাখা হয়েছে। ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। অফিসে প্রবেশ করতে পানি ডিঙিয়ে যেতে হবে বিধায় ইউনিয়নের লোকজন সেবা নিতে আসছে না। এমনকি পানির কারণে অনেক জনপ্রতিনিধি অফিসে যেতে পারেনি।
ফতুল্লা বিসিক ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র অফিসার ইনচার্জ এ কে এম রায়হানুল আশরাফ হোসেন বলেন, বিসিকের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করে বালু ভরাট করার ফলে অবিরাম বৃষ্টিতে ফায়ার স্টেশনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে ফায়ার স্টেশনের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আমাদের বসার অফিসটিও পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান জানান, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়টি একটু নিচু হওয়ায় অবিরাম বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আশপাশের ড্রেনে ময়লা জমে অনেক নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পরে লোক দিয়ে ড্রেন পরিষ্কার করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি