আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের উত্তর প্রদেশের পুলিশ জানিয়েছে, সেখানে বিষাক্ত মদ খেয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার কানপুর জেলার সিনিয়র এসপি অখিলেশ কুমার বলেছেন, বিষাক্ত মদ খেয়ে শনিবার পাঁচজন এবং রোববার আটজনের মৃত্যু হয়। খবর নিউজ ডটকমের।
এসপি কুমার বলেছেন, আরও অন্তত ১০ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।তিনি বলেন, চোলাই মদ তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসঙ্গে মাধুরী-৪৪২ নামের একটি স্পিরিট ব্র্যান্ড বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা মদ জব্দের জন্য বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালাচ্ছি।ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর হিসাব মতে, প্রতিবছর স্থানীয়ভাবে তৈরি মদ খেয়ে গড়ে এক হাজার মানুষ মারা যায়। যাদের অধিকাংশই গরিব।বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত মদের চেয়ে স্থানীয় মদের দাম কম। তাই স্থানীয় এই মদের চাহিদা বেশ।ভারতের প্রায়ই চোলাই মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
এর আগে ১৯৯২ সালে উড়িষ্যা রাজ্যে চোলাই মদ খেয়ে ২০০ জনের মৃত্যু হয়। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিষাক্ত মদ খেয়ে ১৮০ জন এবং ২০১৫ সালে মুম্বাইয়ে ১০০ জনের মৃত্যু হয়।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ