আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের অবসান চায় দেশটির নাগরিকেরা। রাজতন্ত্রের অবসানে রীতিমতো স্বপ্ন দেখছেন তারা। এ লক্ষ্যে ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিরুদ্ধে তারা প্রায়ই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
শনিবার রাজপরিবারের ইতিহাসে অনন্য এক জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে যুবরাজ প্রিন্স হ্যারি ও মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেল বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এ সময় একদিকে যেমন দেশটির অনেক নাগরিকের আবেগ-অনুভূতি রাজপরিবারের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। অন্যদিকে দেশটির বহু নাগরিকই তাদের দেশের রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব প্রকাশ করে। লন্ডনে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভে ইউরোপের অন্য দেশগুলোর লোকও অংশ নেয়।
বিক্ষোভের মধ্যেই আয়োজন করে রাজকীয় বিয়েবিরোধী একটি অনুষ্ঠান। এএফপি জানায়, এদিনে পুরো যুক্তরাজ্যজুড়ে অভিজাত দেখে মাত্র ৬০০ অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আরও কয়েক হাজার মানুষ আবেগের আতিশয্যে উইন্ডসর রাজপ্রাসাদের বাইরে দাঁড়িয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান দেখে।
হ্যারি ও মেগানের বিয়েতে শুভেচ্ছা জানিয়ে ৬০ লক্ষাধিক টুইট করেছে। ধন্যবাদ জানিয়ে এত মানুষের ভালোবাসার জবাবও দিয়েছে রাজপরিবার। তবে এর বাইরে জনগণের টাকায় অতিশয় জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায় বেশ কিছু মানুষ।
আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শনিবার লন্ডনের কেন্দ্রে অ্যালায়েন্স অব ইউরোপিয়ান রিপাবলিকানের ব্যানারে চারদিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান কনভেনশন নামে একটি সমাবেশে যোগ দিয়েছেন প্রায় ১৩০ জন।
সমাবেশে স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, সুইডেন ও যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিরা শ্রোতাদের উদ্দেশে বক্তব্য দিচ্ছেন। রাজতন্ত্রপন্থীদের তুলনায় সমাবেশের উপস্থিতি কম হলেও তার আবেগ-অনুভূতির শক্তি কোনো দিক দিয়েই কম নয়।
সমাবেশে উপস্থিত লন্ডনের অধিবাসী আইরিন পিনার বলেন, ‘ব্রিটিশ রাজতন্ত্র এলিট এলিট ভাব নিয়ে চলে। এটা কোনো দিক দিয়েই ঠিক নয়।’
তিনি বলেন, রাজপরিবার আমার-আপনার প্রতিনিধিত্ব করেন। এক সময় রানীর প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে শপথ নেয়া সাবেক ব্রিটিশ সেনা ডেভিড হার্স্ট বলেন, এটা আসলেই সেকেলে। এ দেশের মানুষ রানীকে দেখে ভিনগ্রহের প্রাণী হিসেবে।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ