যশোর প্রতিনিধি:
যশোরে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছেন। লাশগুলো হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে পুলিশ দাবি করেছে, মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্ব নিয়ে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে রোববার গভীর রাতে তারা নিহত হয়েছেন। তবে নিহতদের পরিচয় না জানায় পরিবারের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে ১৭ মে রাত থেকে (প্রথম রমজান) থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত সারাদেশে কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন।
পুলিশের ভাষ্যে, নিহতদের বেশিরভাগই নিজ এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি ও সেবনকারী। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি একেএম আজমল হুদা জানান, রোববার দিনগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে মাদক ব্যবসায়ীদের কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুটি স্থানে তিনজন নিহত হয়েছেন।
পরে পুলিশ লাশ তিনটি উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওসি জানান, রাতে যশোর শহরতলীর শেখহাটি ও খোলাডাঙ্গায় মাদক ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি করছে- এমন সংবাদ পায় পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশ ওই স্থান দুটিতে যায়।
এ সময় শেখহাটির নওয়াব আলীর খেজুর বাগান নামক স্থান থেকে দুটি গুলিবিদ্ধ লাশ এবং ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে খোলাডাঙ্গা মাঠের মধ্যে থেকে একটি গুলিবিদ্ধ লাশ ও ১০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল ও গুলির খোসা পাওয়ার কথাও জানান তিনি।
যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কল্লোল কুমার সাহা জানান, সোমবার ভোর চারটা পাঁচ মিনিটের দিকে যশোর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক তরুণ কুমার গুলিবিদ্ধ একটি এবং যশোর উপশহর ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুর রহিম দুটি লাশ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাদের চেহারা বিভৎস হয়ে গেছে। লাশগুলো হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ১৭ মে গভীর রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে চট্টগ্রামে দু’জন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে একজন ‘মাদক কারবারি’ নিহত হন। পরের দিন ১৮ মে গভীর রাতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে যশোরে তিনজন ও ময়মনসিংহে একজন ‘মাদক কারবারি’ নিহত হন। তবে ১৯ মে থেকে ২০ মে রাত পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ১১ জন নিহত হন। এদের মধ্যে টাঙ্গাইলে দু’জন ছাড়া ফেনী, ময়মনসিংহ, বরিশাল, দিনাজপুর, যশোর, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও নরসিংদীতে একজন করে ‘মাদক কারবারি’ নিহত হন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি