নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানী ঢাকায় কেমিক্যালে পাকানো ১১শ’ মণ অপরিপক্ব আম ধ্বংস করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ৬ জনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টি ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) এর সহযোগিতায় শনিবার সকাল ৮টা থেকে রাজধানীর হজরত শাহ আলী মাজারের পাশে দিয়াবাড়ী ফলের আড়তে এ অভিযান চালায় র্যাব-৪। পরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সহযোগিতায় দিয়াবাড়ী বালুরমাঠে জব্দ আম ধ্বংস করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদরদপ্তর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আম পাকতে আরও কমপক্ষে ১০ দিন সময় লাগবে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা কেমিক্যাল ব্যবহারে জোরপূর্বক আম পাকাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইথোফেন দিয়ে পাকানো হচ্ছে আমগুলো। লাল পাকা আম। বাইরে থেকে দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই অধিকাংশ আমই অপরিপক্ব। বিশাল ফলের আড়ত জুড়ে পরিপক্ব আম নেই বললেই চলে। কেমিক্যাল দেয়ার ফলে আমের উপরের অংশ পাকা দেখা যায়। অথচ অধিকাংশ আমের ভেতরের আঁটিও হয়নি।
সারওয়ার আলম আরও বলেন, পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ইথোফেন ব্যবহৃত ফল খেলে ডায়রিয়া, চুলকানিসহ দীর্ঘ মেয়াদী অসুখ হচ্ছে।
অপরাধ স্বীকারের ভিত্তিতে মোট ১৪ প্রতিষ্ঠানের ৬ জনকে সর্বোচ্চ এক বছরসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এছাড়া অভিযানে অংশ নেন র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-১) মেজর সাইফুদ্দিন ও বিএসটিআইয়ের মাঠ কর্মকর্তা মো. শরীফ হোসেন।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ